বর্তমানে কেবিন ক্রুরা ফ্লাইট চলাকালে বিভিন্ন প্রতিকুল ও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি পারদর্শী। কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণের অন্যতম একটি অংশ হলো জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন। এই লক্ষ্যে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এমিরেটস এয়ারলাইন তাদের কেবিন ক্রুদের জীবনের এবং জীবন রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
চলতি মাসে উদযাপিত হচ্ছে বিশ্ব ফার্স্ট এইড দিবস। এই মাসেই এমিরেটসের নতুন নিয়োগকৃত তিন হাজার কেবিন ক্রু তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। প্রতি কেবিন ক্রুই এখন উন্নত এভিয়েশন ফার্স্ট এইড প্রদানে সম্পূর্ণ দক্ষ।
নতুন নিয়োগকৃত কেবিন ক্রুরা বিশ্বমান অর্জনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আট সপ্তাহব্যাপী যে প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল সুরক্ষা, সেবা, ইমারজেন্সি ব্যবস্থাপনা এবং সংকটপূর্ণ অবস্থায় মেডিকেল সেবাসহ বিভিন্ন বিষয়।
ফার্স্ট এইডের সকল বিষয়েই কেবিন ক্রুদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অজ্ঞান হওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, স্ট্রোক, রক্তে সুগার কমে যাওয়া, এলার্জি সহ বিভিন্ন ইমারজেন্সি ব্যবস্থাপনা। হাড় ভেঙ্গে যাওয়া, বার্ন, সংক্রামক ইনফেকশন, অন-বোর্ড হাইজিনসহ অন্যান্য বিষয় ব্যবস্থাপনায়ও কেবিন ক্রুরা প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।
প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ আরো তিনটি বিষয় ছিল অটোমেটেড এক্সট্রানাল ডিফিব্রিলেটারের সঠিক ব্যবহার, সন্তান প্রসবে সহায়তা প্রদান এবং মৃতদেহের ব্যবস্থাপনা।
ফ্লাইটে জরুরি মেডিকেল সেবার প্রয়োজনে কেবিন ক্রুরা অন্যান্য ফ্লাইট-ডেক ক্রু এবং গ্রাউন্ড মেডিকেল সাপোর্ট টিমের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করে থাকেন।
দুবাইয়ে অবস্থিত এমিরেটসের গ্রাউন্ড মেডিকেল সাপোর্ট দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা জরুরি অবস্থায় স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা বিশ্বে এমিরেটস ক্রুদের পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করে।
আর্থসূচক/এইচএআই



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.