বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে মুদ্রণ শিল্পের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী  

রাজধানী ঢাকায় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনের মুদ্রণ শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এতে অংশগ্রহণ করবে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ টি প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংস্থা আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং পিআইএবি এ তথ্য জানায়।

মুদ্রণ শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সল্যুশন নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (পিআইএবি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রদর্শনীতে প্রিন্টিং খাত সংশ্লিষ্ট আর্ন্তজাতিক পণ্য ও প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে।

প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে সবার জন্য এটি ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। একই সঙ্গে চলবে পেপার, প্লাস্টিক এবং প্যাকেজিং শিল্প নিয়ে ‘থ্রি পি বাংলাদেশ’ র্শীষক আরেকটি আর্ন্তজাতিক মেলা। তিনদিনের এ মেলা আস্ক ট্রেডের সাথে যৌথভাবে আয়োজন করেছে ফিউচারেক্স ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড ইভেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সাপ্লায়ার্সদের সকল ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্লাটফর্ম যেখানে দেশের মুদ্রণ শিল্পের অফসেট প্রিন্টিং, ডিজিটাল প্রিন্টিং, সাব্লিমেশন প্রিন্টিং এবং টেক্সটাইল প্রিন্টিং প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে ‘ইমেজেস গ্রুপ প্রেজেন্টস প্রিন্টেক বাংলাদেশ’ এর দ্বিতীয় আসরে।

অন্যদিকে থ্রি পি বাংলাদেশ -এ পেপার, প্যাকেজিং এবং প্লাস্টিক সংশ্লিষ্ট ম্যাটেরিয়াল, ম্যাশিনারি এবং অন্যান্য পণ্যের প্রদর্শন করা হবে। দুটি প্রদর্শনীতে দেশি-বিদেশি প্রায় ১০০ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহিদ সেরনিয়াবাত জানান, কোভিড পরবর্তীকালে আমাদের মুদ্রণ শিল্প ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এই খাত নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার প্রসার, আপগ্রেডেশন এবং বৈচিত্রের যে চাহিদা রয়েছে তা পূরণ করবে প্রিন্টেক বাংলাদেশ।

আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর যে সাড়া আমরা পেয়েছি তা সত্যিই উৎসাহ জোগায়। দর্শকদের জন্য প্রদর্শনী দুটি হবে প্রিন্টিং, প্লাস্টিক, প্যাকেজিং এবং পেপার সংশ্লিষ্ট নতুন নতুন উদ্ভাবন সরাসরি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ।

আয়োজকরা জানান, বর্তমানে মুদ্রণ শিল্প দেশের জাতীয় অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তি এবং কারিগরি জ্ঞান এবং সেই সাথে সর্বাধুনিক বিশ্ববিখ্যাত মেশিনারি, মাল্টি কালার প্রিন্টিং মেশিনের ইনসটলেশন এ খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৭০০০ মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে বাংলাদেশে। যার মধ্যে ২০০০ প্রতিষ্ঠানকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আধুনিক বলা যায়। দেশে বর্তমানে প্রতিবছর এ শিল্পের ৪০০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে, যার মধ্যে ১৬০ কোটি রপ্তানিভিত্তিক। তিন লাখের বেশি মানুষ সরাসরি সম্পৃক্ত এ শিল্পের সাথে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (পিআইএবি) মহাসচিব জহুরুল ইসলাম, আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কাদম্বী, ইমেজেস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান, এফবিসিসিআইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট আমীন হেলালী এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিনা নেওয়াজ।

প্রদর্শনী দুটির সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিন্টিং প্যাকেজিং অ্যানড অ্যালায়েড ম্যাশিনারি ম্যানফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (আইপিএএমএ), অল ইন্ডিয়া প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিস এসোসিয়েশন এবং ইন্ডিয়ান পেপার করোগেটেড অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.