যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় লিজ ট্রাসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা তার নেতৃত্বের মাধ্যমে ব্রিটেনকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে সে দেশের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধি করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহনশীলতার মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্তোষ প্রকাশ এবং তা উত্তরোত্তর বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাজনীতি, অর্থনীতি ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজের সাফল্য কামনা করেন।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজের নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাবেন তিনি।

বেশ কিছু কেলেঙ্কারির কারণে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন বরিস জনসন৷ এরপরই কনজারভেটিভ দলের নতুন প্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ শুক্রবার পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে৷ ভোটার ছিলেন কনজারভেটিভ দলের প্রায় দুই লাখ সদস্য৷ ভোটে ট্রাস সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করেন৷ সুনাক জিততে পারলে ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী হতেন৷ মোট ভোট পড়েছে ৮২.৬ শতাংশ৷ ট্রাস পেয়েছেন ৮১৩২৬ ভোট (৫৭.৪ শতাংশ)৷ সুনাক পেয়েছেন ৬০৩৯৯টি (৪২.৬ শতাংশ)৷

২০১৯ সালে ৬৬.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে কনজারভেটিভ দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন৷ ২০০৫ সালে ডেভিড ক্যামেরন পেয়েছিলেন ৬৭.৬ শতাংশ ভোট৷ আর ২০০১ সালে ডানকান স্মিথ পেয়েছিলেন ৬০.৭ শতাংশ ভোট৷ লিজ ট্রাস ও ৪২ বছর বয়সি সুনাক উভয়ই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী৷

বামপন্থি পরিবারে জন্ম নেওয়া ট্রাস প্রথমে লিবারেল ডেমোক্র্যাট ছিলেন৷ তবে ২০১০ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন৷ ট্রাস ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ছিলেন৷ তবে ব্রিটিশরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিলে তিনি দ্রুতই ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন৷ এরপর ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লিজ ট্রাসকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে গড়া প্রতিনিধি দলের প্রধান করেছিলেন৷ গতবছর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ট্রাস৷

লিজ ট্রাস যেসব পোশাক পরেন এবং ছবি তোলার জন্য যেসব জায়গা বেছে নেন, যেমন এস্তোনিয়ায় গিয়ে ট্যাঙ্কে এবং মস্কোয় গিয়ে পশমের টুপি পরে ছবি তোলা, ইত্যাদি কারণে অনেকে তাকে প্রথম নারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের সঙ্গে তুলনা করেন৷ ইউক্রেন ইস্যুতে তিনি রাশিয়ার কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত৷

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.