কয়েকমাস আগেও কোহলি যখন রান পাচ্ছিলেন না তখন তাকে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিতে থাকেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি পর্যন্ত প্রত্যেকেই মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে থাকেন কোহলিকে। এশিয়া কাপে ব্যাটে রান আসতে থাকায় ধীরে ধীরে বাজে সময় পার করতে চলেছেন কোহলি। একইসঙ্গে দুঃসময়ের স্মৃতিও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে তার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে জানালেন নিজের রুঢ অভিজ্ঞতার কথা।
কোহলি বলেন, ‘একটা কথা আপনাদের বলতে পারি, টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার পর, কেবল একজন মানুষের কাছ থেকেই ম্যাসেজ পেয়েছি, যার সঙ্গে আগে খেলেছি-তিনি হলেন এমএস ধোনি। অনেকের কাছেই আমার ফোন নম্বর আছে। টিভিতে কত লোকে পরামর্শ দেন আমাকে, কত কথা বলেন! কিন্তু যতজনের কাছে আমার নম্বর আছে, আর কেউ ম্যাসেজ দেননি। এই যে শ্রদ্ধাবোধ, কারও সঙ্গে এরকম যোগাযোগ, এটা যখন খাঁটি হয়, তখন এভাবেই ফুটে ওঠে। এখানে দুই দিকেই যখন নির্ভরতা থাকে, তার আমার কাছে কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই, আমারও নেই তার কাছে, আমার কেউ পরস্পরকে নিয়ে শঙ্কিত নই। আমি স্রেফ এটাই বলতে পারি, যখন কাউকে কিছু বলতে চাই, আমি ব্যক্তিগতভাবেই তার সঙ্গে যোগাযোগ করি, এমনকি সেটা যদি তাকে সহায়তা করার ব্যাপারও হয়।’
কোহলির মতে, ‘গোটা দুনিয়ার সামনে আমার জন্য পরামর্শ মেলে ধরলে, আমার কাছে সেটির কোনো মূল্য নেই। যদি আমার উন্নতির জন্যই হয়, তাহলে আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন এবং বলতে পারেন যে, ‘সত্যিই তোমার ভালো চাই।’ আমি জীবনটা যাপন করি অনেক সততা নিয়ে, কাজেই সবকিছু এভাবেই দেখি।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে সেঞ্চুরি করার পর থেকে আর তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগার ছোঁয়া হয়নি কোহলির। এরপর তো সেঞ্চুরি খুঁজতে খুঁজতে তিনি ঘুরপাক খান অফ-ফর্মেই। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড সফরে পাঁচটি ম্যাচ খেলে মোটে ৭৬ রান করেন কোহলি। এর মধ্যে ২০ রান অতিক্রম করতে পারেননি একটি ইনিংসেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে সফরে বিশ্রামে ছিলেন কোহলি।
পুরোপুরি সতেজ হয়েই সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলতে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ৭০টি সেঞ্চুরি হাঁকানো কোহলি। আর এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত দুটি হাফ সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত বেশ ভালোভাবেই দিয়েছেন তিনি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.