ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে না বিএসইসি

দেশের পুঁজিবাজারে চালু করা ফ্লোর প্রাইস ব্যবস্থায় আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) লেনদেনের মাঝামাঝি সময়ে পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তাতে শেয়ার বিক্রির হিড়িক শুরু হয়। বিশেষ করে আগের পাঁচদিনের উর্ধগতির কারণে অনেক শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা থাকায় তারা শেয়ার বিক্রি করে ওই মুনাফা তুলে নেন। তাতে বিক্রির চাপ বেড়ে গেলে সূচকের পতন হয়।

যদিও বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, টানা কয়েকদিন মূল্য বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই মূল্যসংশোধন অনিবার্য ছিল। এ ক্ষেত্রে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়ার গুজব ওই মূল্যসংশোধনকে ত্বরান্বিত করেছে মাত্র। তারা এই মূল্য সংশোধনকে বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাদের মতে, বাজার সংশোধনের মাধ্যমে সামনে এগুলে বিপর্যয় বা বড় পতনের আশংকা অনেকটা-ই কমে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যে পরিস্থিতিতে ফ্লোর প্রাইস চালু করা হয়েছে, সে পরিস্থিতির তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত বা ভাবনা তাদের নেই।
তিনি মনে করেন, কোনো অসাধু চক্র তাদের হীন উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এমন গুজব ছড়িয়ে থাকতে পারে। দর পতন ঘটিয়ে তারা হয়তো একটু কম দামে শেয়ার কিনতে চায়।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশ গিয়েছেন। তার অবর্তমানে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে শেয়ার বিক্রি করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার হিড়িক, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে ছড়িয়ে পড়া নানা গুজবে পুঁজিবাজারে ব্যাপক দরপতন শুরু হলে গত ২৮ জুলাই ফ্লোর প্রাইস আরোপ করা হয়।

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.