বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক লেনদেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান- নগদকে শর্তসাপেক্ষে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এলওআই (লেটার অফ ইন্টেন্ট) লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
মঙ্গলবার পর্ষদের বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, কতিপয় শর্তসাপেক্ষে নগদকে এই অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক লেনদেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান- নগদ। নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি নামে একটি ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্মতিপত্র (এলওআই) দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
এ নিয়ে বাংলাদেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫টি।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্থিক সেবার (এমএফএস) জন্য সাবসিডিয়ারি বা সহযোগী কোম্পানি খুলতে পারবে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) রেগুলেশন্স-২০২২ এ নতুন বিধান সংযুক্ত করা হয়।
বলা হয়, আগের মতোই মূল প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম শেয়ার থাকতে হবে ৫১ শতাংশ। নতুন রেগুলেশন্সে আগের মতোই এ ধরনের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৪৫ কোটি টাকা। নেতৃত্বে থাকার সুযোগ না থাকলেও এ ধরনের সাবসিডিয়ারিতে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এমআরএ অনুমোদিত ক্ষুদ্র ঋণদান প্রতিষ্ঠান যুক্ত হওয়ার সুযোগ রাখা হয়।
এ নীতিমালার আগ পর্যন্ত ২০১৮ সালের রেগুলেশন্স বা প্রবিধানমালার আলোকে শুধু ব্যাংকের নেতৃত্বে এমএফএসের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খোলার সুযোগ ছিল, যা ‘ব্যাংক লেড মডেল’ হিসেবে বিবেচিত।
জানা গেছে, ‘নগদ’ চায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে তার সাবসিডিয়ারি হিসেবে এমএফএস সেবা দিতে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন সংশোধন না করে সাধারণভাবে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমএফএস সেবা দেয়ার সুয়োগ ছিল না। নতুন বিধান যোগ করার ফলে সুযোগ তৈরি হয়েছে।
২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৮ সালে নীতিমালার আগ পর্যন্ত ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তি নিয়ে সেবা দিত। বর্তমানে ১৮টি ব্যাংকের এমএফএস সেবা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘বিকাশ’, ‘উপায়’ এবং ‘ট্যাপ’ পরিচালিত হচ্ছে সাবসিডিয়ারি হিসেবে। বাকিরা ব্যাংকের নিজস্ব সেবা হিসেবে পরিচালনা করছে।
অর্থসূচক/এমএস/এমআর/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.