চা-শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, এতে ১৩ জন চা বাগান মালিক উপস্থিত আছেন।
গত ৯ আগস্ট থেকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চা-শ্রমিকরা। গত কয়েক দিন ধরে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রমিক নেতারা কথা বলে, আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। এ ছাড়া, প্রশাসনের কর্মকর্তারাও নানা আশ্বাস দিলেও কাজে ফেরেনি তারা। চা-শ্রমিকদের আন্দোলনের মাঝে চা বাগান মালিকেরা ২৫ টাকা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকার প্রস্তাব করলেও তারা কাজে ফেরেনি। ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী জানান, চা-শ্রমিক তাদের যৌক্তিক দাবিতে একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগ্রামী চা-শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে বদ্ধপরিকর। শ্রমিকরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, ফলে তাদের মজুরি এবং রেশন বন্ধ হয়ে আছে। এই রকম পরিস্থিতিতে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে মানবিক বিবেচনায় কিস্তি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকা এবং কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭টি চা-বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.