ইভিএম নিয়ে চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আমরা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং টেকনিক্যালিও ইভিএম নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়েছে, ওটা কতটা নির্ভরযোগ্য বা সত্য, ওটাও আমরা পরখ করে দেখার চেষ্টা করেছি। আমরা বিভিন্ন দলকে বলেছিলাম, আপনাদের টেকনিক্যাল পারসনদের নিয়ে আসেন। তারা এনে ছিলেন। আমরা আজ পর্যন্ত ইভিএমে ওই ধরনের যে একটা বক্তব্য চাউর হয়েছে- এখানে ভোট দিলে ওখানে চলে যাবে, এর কোনো নির্ভরযোগ্যতা পাইনি এবং তারাও দেখাতে পারেনি।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা অনেকগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করেছি ও দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ১৫০, ১৫০ এইভাবে ভাগ করে ইভিএমটাকে ব্যবহার করবো। এটা নিয়ে যে কথাগুলো চালু আছে, সেগুলো নির্বাচনের পরেও কিন্তু বোঝা যাবে। আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যালট পেপারে যে সমস্যা হয় তার জবাব ইভিএমে ভালোভাবে পাওয়া যাবে। কেননা, সহিংসতা, কারচুপি সম্ভব হয় না।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, কোনো দলের চাওয়ার পক্ষে, বিরোধীদের বিপক্ষেও নয়। একাধিক দল ইভিএমের বিপক্ষে বলেছে। আমরা সবার মতামত নিয়েছি। সম্ভব হলে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। এখন সম্ভব হবে কি না জানি না।

বিএনপি যদি পরবর্তীসময়ে কোনো দাবি নিয়ে আসে তখন কী করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনারা আসলে হয়তো আলোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

‘সব দলের মতামত আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। ভোটকে হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব ইসির। কীভাবে ভোট করলে স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারে, সুষ্ঠু হতে পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটা আমাদের মুখ্য বিবেচনার বিষয়। দলগুলোর কে কি বলেছে তা মুখ্য বিবেচনায় আসেনি। তবে তাদের বক্তব্যগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। একই সঙ্গে কোটি কোটি যে ভোটার আছেন, তারা যেন আরও ভালোভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেই বিষয়টাকে বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা-পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এখন ইভিএমের ক্ষেত্রে ওই ধরনের মাস্তানি কেউ করলে তা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা তা করবো।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.