আরও ৭ ব্যাংক তাদের ৩২২ শাখায় ডলার বেচাকেনার জন্য আবেদন করেছে। এর আগে ১৭ আগস্টের মধ্যে ডলার বিক্রির অনুমোদন চেয়ে ৬৬৬টি শাখার জন্য ২৩টি ব্যাংক আবেদন করে।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৯৮৮টি শাখা ডলার বেচাকেনায় আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকে।
ডলার সংকট মোকাবেলা ও মানি চেঞ্জারদের দৌরাত্ম্য কমাতে এর আগে গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অথরাইজড ডিলার (এডি) শাখা ছাড়াও অন্যান্য শাখায় ডলার বেচাকেনার জন্য ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম অর্থসূচককে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানি চেঞ্জারগুলোর কঠোর তদারকিতে গ্রাহকের যেন ভোড়ান্তি না হয় সেজন্য আমরা ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি, এডি শাখার বাইরে তারা যদি এই সেবা দিতে চায় তারা যেন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তাদের শাখায় নগদ ডলার লেনদেনের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করছে।
এই পর্যন্ত ৩০ টা ব্যাংকের ৯৮৮ টা শাখা আবেদন করেছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তাদেরকে ডলার বেচাকেনার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেবো। ডলারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকগুলোর এডি শাখার বাইরে অন্য শাখাগুলোতেও ডলার বেচাকেনা করা হলে ডলারের যে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে তা কমে আসবে।
যেসব শাখাতে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয় সেগুলোকে অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা বলা হয়। এসব শাখার বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করতে পারে না ব্যাংক। কিন্তু মানি চেঞ্জার ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভরতা কমানো ও হুন্ডি প্রতিরোধে সারাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় নগদ বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা করা শাখার সংখ্যা খুব কম। যেগুলো আছে সেগুলোর বেশিরভাগই রয়েছে রাজধানী ঢাকা ও কয়েকটি বিভাগীয় শহরে। ফলে নগদ ডলার বেচাকেনার জন্য মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়।
এ ধরনের সেবা কোন এলাকার কোন শাখায় চালু করা হবে, সেই সম্ভাব্য তালিকা চেয়ে দেশের সব ব্যাংকের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মানি চেঞ্জার ও খোলা বাজারে ডলারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
অর্থসূচক/এমএস/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.