সৌম্যের রানে ফেরার ম্যাচে বৃষ্টির জয়

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে পাত্তায় পায়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। প্রথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে একশো রানও তুলতে পারেনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। নাইম শেখ-সাব্বির রহমানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছিল টাইগাররা। তাই সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের সব রোমাঞ্চ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হওয়ায় ১-১ এর সমতায় সিরিজ শেষ করেছে দুই দল।

২৩৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগের ম্যাচে শতক করা নাইম শেখ এদিন সাজঘরে ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই। অ্যান্ডারসন ফিলিপের করা শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে ফেরার আগে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। একই ওভারের শেষ বলে দৃষ্টিকটু শটে আউট হয়েছে সাইফ হাসানও। শরীর থেকে অনেক দূরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দল যখন দিশেহারা তখন চাপ সামাল দেন সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন।

তৃতীয় উইকেটে এই দুজন মিলে যোগ করেন ৫১ রান। ১৫তম ওভারে শামার স্প্রিঙ্গারের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে মিঠুন ক্যাচ দিলে ভাঙে সে জুটি। বাংলাদেশে ‘এ’ দলের অধিনায়ক সাজঘরে ফেরার পরের ওভারেই নামে বৃষ্টি। ঘণ্টা দেড়েক পর সেটি থামলেও খেলা আর শুরু হতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। সৌম্য অপরাজিত ছিলেন ৪২ বলে ৩০ রান করে। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেছন লুইস।

এর আগে রেজাউর রহমান রাজা ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির দারুণ বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পতেই আটকে দেয় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আগে ব্যাটিং করে টেডি বিশপের ৬০, ত্যাগনারাইন চন্দরপলের ৪৩ এবং জাস্টিন গ্রিভসের ৩৬ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রানের পুঁজি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে রাজা চারটি এবং মৃত্যুঞ্জয় দুটি উইকেট নিয়েছেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.