অর্থ তুলতে সুইস মার্কেটে ভিড়লো চার চীনা কোম্পানি

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে (আইপিও) সুইজারল্যান্ডের স্টক মার্কেট থেকে অর্থ সংগ্রহ করার জন্য নতুন করে চারটি চীনা কোম্পানি যুক্ত হয়েছে স্টকটিতে। সম্প্রতি চীন-সুইস কানেক্ট প্রোগ্রামের আওতায় এ মূলধন সংগ্রহ করা হবে বলে সোমবার (১ আগস্ট) সিএনবিসির প্রতিবেদনে এক ল’ফার্ম এ তথ্য জানিয়েছে।

চীনের জ্বালানি বা উৎপাদন খাতের এই চারটি কোম্পানি হলো জিইএম (GEM) কোম্পানি লি., গোশন হাই-টেক, কেডা ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ ও নিংবো শানশান।

চীনের উক্ত ৪টি কোম্পানির লীগ্যাল অ্যাডভাইজার ও যুক্তরাষ্ট্রের ল’ফার্ম বেকার ম্যাকেঞ্জি জানায়, গত ২৮ জুলাই এই চীনা কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে এক নতুন স্টক প্রোগ্রাম চালু করেছে। আইপিও শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো ১৫শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশটির বাজার থেকে তুলে নিয়েছে।

এ বিষয়ে বেইজিংভিত্তিক ম্যাকেঞ্জির ক্যাপিটাল মার্কেটের অংশীদার ওয়াং হ্যাং জানান, দু-এক সপ্তাহ আগেই চীনের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক কমিশন তাদের শেয়ারগুলো সুইজারল্যান্ডের স্টকে ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে। তবে এই চারটি কোম্পানি ছাড়াও বাকি (১০ এর অধিক) যেসব কোম্পানি রয়েছে তাদের অনুমোদন পেতে আরও ছ’মাস বা বছর খানেক লাগতে পারে।

সুইসের বাজারে আসা চীনা কোম্পানিগুলোর উদ্দেশ্য শুধু আইপিও ছাড়া নয়, বরং চীনের পুঁজিবাজারে চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য একটা বিদেশি মূলধনের যোগান বাড়ানো।

প্রতিবেদন অনুসারে, সুইজারল্যান্ডের বাজারে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এমন সুযোগ থাকলেও উল্টোভাবে চীনের স্টক এক্সচেঞ্জে বিদেশি বিনিয়োগকারী পোর্টফোলিওগুলোর জন্য রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। বিশেষ করে হং কং ও প্রধান (মেইনল্যান্ড) চীনের পুঁজিবাজারে।

এদিকে সুইজারল্যান্ডের মতো বিদেশি স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে চীনা কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্ত ও আইপিও ইস্যুর ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ও সেই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে চীন। এজন্য অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ঝড়ে পড়েছে। সম্ভবত গোপনীয়তার নিরীক্ষা চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীন একমত না হতে পারায় এমন বেকায়দায় পড়েছে।

অর্থসূচক/এইচডি

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.