‘অস্থির সময়ে বন্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ’

করোনাভাইরাস অতিমারির (কোভিড১৯) ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব অর্থনীতি নতুন সঙ্কটে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অস্থির করে তুলেছে পুরো বিশ্বকে। বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলসহ সকল পণ্যের মূল্য বেড়ে আকাশচুম্বী হয়েছে। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙ্গে পড়েছে। দেশে দেশে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজার এবং বিনিয়োগের অন্যান্য খাতগুলোতেও। অস্থির এ সময়ে বিনিয়োগের নিরাপদ খাত হতে পারে ট্রেজারি ও করপোরেট বন্ডগুলো।

দেশের অন্যতম শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক সিটি ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন এ কথা বলেছেন।

বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত বৈশ্বিক, এশীয় ও বাংলাদেশের বাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনায় দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ট্রেজারি হেডসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরশাদ হোসেন বলেন, নানা কারণে অর্থনীতি চাপে থাকায় পুঁজিবাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজার বেশ অস্থির থাকে। তাই ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করাকে অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন। অন্যদিকে ব্যাংকে স্থায়ী আমানতের সুদের হার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হওয়ায় সেখানে বিনিয়োগ করা মোটেও লাভজনক নয়। অথচ ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল ছাড়াও প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি ফান্ডসহ নানা ধরনের তহবিল আছে। এই তহবিলের জন্য ভাল রিটার্ন খুবই জরুরি। এ অবস্থায় বিনিয়োগের জন্য বন্ড হতে পারে একটি ভাল পছন্দ। কারণ বেশিরভাগ বন্ডে রিটার্ন আগে থেকেই নির্ধারণ করা থাকে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, বন্ডের অর্থ ফেরত দিতে ইস্যু বাধ্য। তিনি করপোরেট বন্ড, ট্রেজারি বন্ড, সুকুক ও অ্যাসেট ব্যাকড বন্ডকে বিনিয়োগের জন্য উপযোগী ক্ষেত্র মনে করেন বলে জানান।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.