নিষেধাজ্ঞা মুখে চাঙা হচ্ছে রাশিয়ার অর্থনীতি: আইএমএফ

ইউক্রেন আগ্রাসনের মুখে পশ্চিমাদের আরোপিত একের পর এক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। মূল্যস্ফীততে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে যা অনুমান (নেগেটিভ) করা হয়েছে তার চেয়েও ভাল (পজিটিভ) করছে। বিশ্বে জ্বালানির চড়াও মূল্যের কারণে এই সুবিধা পেয়েছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) এক সাক্ষাতকারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এ তথ্য জানায়। খবর- টাইম অব ইসরায়েল, রয়টার্স ও এএফপি

এই নিষেধাজ্ঞার অর্থ হল রাশিয়াকে বৈশ্বিক অর্থায়ন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত করা এবং মস্কো যেনো ইউক্রেন আক্রমণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ড গঠন করতে না পারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক আউটলুক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জিডিপিতে এই বছরেই আড়াই শতাংশ পয়েন্টস কমেছে, যদিও ধরা হয়েছে যে এটা ৬ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এটা (অর্থনৈতিক মহামন্দা) এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে উল্লেখ করেছেন আইএমএফের চীফ ইকোনোমিস্ট পিয়েরে অলিভিয়ার।

অলিভিয়ার জানান, রাশিয়ার উপর সর্বপ্রথম আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও তার নীতিনির্ধারকেরা আর্থিক ভীতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। মনে করা হয়েছিল, রাশিয়া এই ধাক্কা সামলাতে পারবে না। এটা কাটিয়ে ওঠার পেছনে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে এক ব্যারেল (প্রায় ১৫৯ লিটার) তেল ৮০ ডলারে বিক্রি হয়। সেখান থেকে বেড়ে তা প্রায় ১২৯ ডলারে চলে যায় (মার্চে)। তবে এই অপরিশোধিত তেল ইউরোপের বাজারে ১০৫ ডলার বিক্রি হয় (জুলাইয়ে)। এছাড়া সম্প্রতি প্রাকৃতিক যে গ্যাস রয়েছে তারও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধিই রাশিয়ার অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছে।

আইএমএফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই মুহূর্তে তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে পুরো ইউরোপ। রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ। ইউরোপের এই সংকট আরো প্রকট হতে পারে যদি মস্কো থেকে গ্যাস সরাবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.