পাকিস্তানে গ্যাসের সংকট, উৎপাদন বন্ধ

প্রায় দু’দিন ধরে গ্যাস নেই করাচি শিল্পাঞ্চলে। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে করাচির সাইট (সিন্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেডিং এস্টেট) শিল্প এলাকার রফতানিমুখী ব্যবসা।

সাইট অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডাস্ট্রির (এসএআই) প্রেসিডেন্ট আবদুল রশিদ করাচির শিল্পগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের বিষয়টির প্রতি মনোযোগ দেয়ার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী মুসাদিক মালিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ ধরেই গ্যাসের চাপ কম ছিল, কিন্তু গত দুদিন ধরে চাপ একেবারে শূন্যে নেমে এসেছে। শিল্পগুলো যদি পূর্ণ চাপে গ্যাস না পায়, তাহলে রফতানি আদেশ টার্গেট পূরণ করতে পারবে না। এতে করে রফতানিমুখী ইউনিটগুলো দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারবে না।

জানা গেছে, পাকিস্তানের প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএসজিসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ভারি বৃষ্টির কারণে গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়, ফলে করাচির বিভিন্ন অংশে ঠিকমতো সরবরাহ দেয়া যায়নি।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানের সংকটের সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছে মাত্রাতিরিক্ত জ্বালানি আমদানিকে।

২০১১-১২ অর্থবছরে পাকিস্তানের নিজস্ব গ্যাস দৈনিক উৎপাদন ছিল ৪,২৫৯ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফ)। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা কমে ৩,৩৮৮ এমএমসিএফে নেমে আসে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটি ৫ বিলিয়ন ডলারের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে।

জ্বলানির অভাবে সাইট শিল্পাঞ্চলে জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিল্পপতি তাদের ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে এ শিল্প এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন কার্যক্রম। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত সংকটের মুখে পড়বে পাকিস্তান- এমনটাই ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.