ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে এসেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (EK-582) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

এখান থেকে মরদেহ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় দেশে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেখানে মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে।

ডেপুটি স্পিকারের একান্ত সচিব মো. আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ঈদগাহ মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বেলা ১২টার দিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া ডেপুটি স্পিকারের গ্রামে বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটায়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার মরদেহ পৌঁছাবে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া কাজী আজাহার আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ নেওয়া হবে ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ। ওই মাঠেই বিকাল ৩টায় তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নিজ বাড়ি গটিয়া গ্রামে নেওয়া হবে। সেখানে বিকাল সাড়ে ৫টায় আরেকটি জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে ফজলে রাব্বী মিয়ার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বী ও মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি জানিয়েছেন, নিজ বাড়ির চত্বরে ফজলে রাব্বী মিয়ার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুই ছেলের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.