অস্থির সপ্তাহের শেষে স্বস্তির আভাস

টানা দর পতনের ধারাবাহিকতাকে সঙ্গী করে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের আরও একটি সপ্তাহ। তবে এ সপ্তাহের মাঝমাঝি পতনের তীব্রতা আগের সপ্তাহগুলোকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বাজার হয়ে উঠেছিল চরম অস্থির। তবে বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এসে বাজারে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেখা যায়। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

সর্বশেষ সপ্তাহের প্রথম দিন দরপতন সহনীয় থাকলেও পরের দু’দিন এর তীব্রতা বেড়ে যায়। তবে শেষ দিনে পতনের তীব্রতা একেবারেই কমে যায়।

আলোচিত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ২৯ ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ৫৭ শতাংশের দাম। আর ১২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। এ সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৮১ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ২১৯টির। আর ৪৭টির দাম ছিল অপরিবর্তিত।

গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৯৭ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমেছে, যার হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি  ৪২ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমেছিল। সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ১২৬ দশমিক ৫২ পয়েন্ট।

এ সপ্তাহে শরীয়াহ সূচক ডিএসইএক্স শরীয়াহ ইন্ডেক্স ৩২ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমেছে।

অন্যদিকে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির মূল্যসূচক ডিএস৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে ৭৩ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমেছে।

আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ৫৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.