ফেসবুকে পরিচয়: দেখা করার লোভ দেখিয়ে অপহরণ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ে দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হয়েছেন সোহাগ নামে এক কলেজ ছাত্র। এ ঘটনায় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ চারজনকে আটক করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লুৎফুন নাহার তন্বী, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. মাসুদ রানা ও মো. স্বপন। এ সময় অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাজিরুর রহমান জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাসিং কলেজের ছাত্র ভিকটিম সোহাগের সাথে লুৎফুন নাহার তন্বীর পরিচয় হয়। তন্বী নিজেকে মাস্টার্স পাস করা একজন অবিবাহিত তরুণী হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তন্বীর সাথে সোহাগের দীর্ঘ দিন ধরে কথাবার্তা চলছিল।

তিনি আরও বলেন, সোমবার (১৮ জুলাই) তন্বী সোহাগকে মোবাইলে মিরপুর-১ নম্বর ফুট ওভার ব্রিজের নিচে দেখা করতে বলেন। বুধবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় সোহাগ সেখানে আসলে তন্বী মিরপুর-১ এর হোটেল রোজ ভিউ আবাসিকের একটি রুমে নিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তন্বী হোটেল কক্ষ থেকে এসএমএসের মাধ্যমে শফিকুল, মাসুদ ও স্বপনের সাথে যোগাযোগ করেন। এসএমএস পেয়ে তারা হোটেলে উপাস্থত হয়। শফিকুল নিজেকে সিআইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে কৌশলে তন্বী ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে তারা ভিকটিম সোহাগকে সিআইডি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সামনে থেকে একটি সিএনজি ভাড়া করে।

আসামীরা সিএনজিতে ভিকটিমের হাত ও মুখ চেপে ধরে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। এ সময় সোহাগ টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের গাড়ি দেখে চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে টহলরত পুলিশ সিএনজিকে ধাওয়া করে পাইকপাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে তাদের আটক করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও তিন আসামীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্ত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তন্বীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের মিরপুর মডেল থানায় রুজুকৃত মামলায় ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস

 

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.