এই প্রথম যুক্তরাজ্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে। নাগরিকদের বাড়িতে থাকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সোম এবং মঙ্গলবার তাপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
বস্তুত, ইতিমধ্যেই প্রবল গরমে নাজেহাল যুক্তরাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ করে দিতে হচ্ছে একাধিক গণপরিবহন। বেশ কিছু রুটের ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। মেট্রো পরিষেবাও নিয়মিত দেওয়া যাচ্ছে না। বাসের সংখ্যাও কমেছে। লুটন বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাপমাত্রার জন্য বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লন্ডনের। রাজধানীর মেয়র জানিয়েছেন, খুব প্রয়োজন না হলে কেউ যেন বাড়ি থেকে বের না হন। হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক এবং নার্সদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কারণ, গরমের কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। গরমের জন্য তারা আরো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যথাসম্ভব বাড়িতে বসেই কাজ করতে। বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে বয়স্ক এবং শিশুদের জন্য।
লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে অধিকাংশ স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে স্কুলগুলি খোলা, সেখানে পুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জলের স্প্রের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোম এবং মঙ্গলবার ভয়াবহ তাপপ্রবাহ হবে। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এর আগে এই তাপমাত্রা যুক্তরাজ্য দেখেনি। মঙ্গলবারের পরেও গরম কমার সম্ভাবনার কথা জানাতে পারেনি আবহাওয়া দপ্তর।
যুক্তরাজ্যেরমতোই অবস্থা ইউরোপের একাধিক দেশের। দক্ষিণ পশ্চিম ইউরোপে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ ঘটছে। তবে তা ক্রমশ উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পর্তুগাল, ফ্রান্স, স্পেনে দাবানল শুরু হয়েছে। শুকনো গরমে জঙ্গলে আগুন লেগে গেছে। জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসেও মঙ্গলবার থেকে গরম বাড়বে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। তাপপ্রবাহ ক্রমশ উত্তর দিকে এগোচ্ছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
দাবানলের জন্য দক্ষিণ পশ্চিম ফ্রান্স থেকে এখনো পর্যন্ত ১৬ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরো সাড়ে তিন হাজার মানুষকে যে কোনো সময় উদ্ধার করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.