ভারতে ষাঁড়ের দৌড়, বাংলাদেশে ভালুকের কাঁপন

টানা পতনের পর গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেছে ভারতের দুই পুঁজিবাজার-বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে (এনএসই)। মূল্যসূচক বেড়েছে ১.৪ শতাংশের বেশি। বৈশ্বিক টালমাটাল পরিস্থিতির এই সময় মূল্যসূচকে বড় অবদান রেখেছে আইটি খাত, প্রাইভেট ব্যাংক ও রিলায়েন্স শিল্প প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (১৮ জুলাই) ভারতীয় সময় বিকাল ৪টা ৮ মিনিট পর্যন্ত বিএসইর প্রধান মূল্যসূচক এসন্ডপি সেনসেক্সে ৭৬০ (১.৪১ শতাংশ) পয়েন্ট বেড়ে সূচক ৫৪ হাজার ৫২১ পয়েন্টে গিয়ে স্থির হয়। আর অপর পুঁজিবাজার এনএসইর নিফটি ৫০ সূচক ২২৯ (১.৪৩ শতাংশ) পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।

খবরে-ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

আজ সেনসেক্সের চূড়ায় অবস্থান করেছে ইন্ডাসইন্ড ব্যাংক,ইনফোসিস, টেক মাহিন্দ্রা, বাজাজ ফিনসার্ভ, অক্সিস ব্যাংক, কোটাক মাহিন্দ্র ব্যাংক ও আলট্রাটেক সিমেন্ট। এসব ব্লুচিপ শেয়ারগুলোর দর ০.৮৫ হতে ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পক্ষান্তরে, তলানিতে অবস্থান করেছে এইচডিএফসি ব্যাংক, মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র, নেসল ইন্ডিয়া, মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, হাউজিং ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (এইচডিএফসি) ও এনটিপিসি।

সেনসেক্সের সকলখাতে সুদৃঢ় শেয়ার ক্রয় সমর্থনের কারণে সূচকটি ৫৪ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে। অপরদিকে নিফটি সূচক টানা পড়তে থাকলেও শেয়ারহোল্ডাররা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করার মানসিকতা নিয়ে বাজারে আসায় ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে নিফটি।

বাজার লেনদেনে অংশগ্রহীতারা নিফটি ৫০ সূচক ১৬ হাজার ১৫০ থেকে ২০০ পয়েন্টে অবস্থান করায় একে শক্তিশালী জোন (অঞ্চল) বলে মনে করছেন। তারা এও মনে করছেন যে, সূচক হিট (শেয়ারের দাম বাড়লে) করলে নিফটি ১৬ হাজার ৪শ পয়েন্ট থেকে সাড়ে ৪শ পয়েন্টের মধ্যে থাকতে পারে। অন্যথায়, এটি ১৬ হাজার ১৫০ পয়েন্টের নিচে নামতে পারে।

ভারতের পুঁজিবাজার আজ ‘টপ অব দ্য ডে’ হলেও বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের চিত্র ছিল ‘ফ্লপ অব দ্য ডে’। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় আড়াইশ কোম্পানির শেয়ারে কোনো ক্রেতা ছিল না। এদিন বাজারে যে ৩৮২ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, তারমধ্যে ৩৫৮টি শেয়ারের দর হারিয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৯৪ শতাংশ শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

অর্থসূচক/এইচডি

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.