মূল্যস্ফীতিতে ভারতে বিটকয়েন নিষিদ্ধের সুপারিশ

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) দেশটিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করতে সরকারকে বিধিমালা প্রণয়ন করার জন্য সুপারিশ করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশের ভিত্তিতে ক্রিপ্টোকে নিষিদ্ধ করতে ভারত সরকার ‘আন্তর্জাতিক সহযোগিতা’র কথা উল্লেখ করেছেন।

ভারতের শীর্ষ অনলাইন বিজনেস সংবাদ মাধ্যম মানিকন্ট্রোল’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের রিজার্ভ বাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) দেশটির মুদ্রানীতি ও অর্থব্যবস্থার স্থিতিশীলতায় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এই উদ্বেগের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ জুলাই) দেশটির সংসদে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বলেন, দেশ থেকে জনপ্রিয় বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি সমূহ নিষিদ্ধ করতে আইন করা দরকার। এজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সহযোগিতা। কোনো কিছু নিষিদ্ধ কার্যকর করার জন্য আইন প্রণয়ন তখনিই সম্ভব হয় যখন বিশ্বব্যাপী এই ঝুঁকি পরিমাপের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে তাৎপর্যপূর্ণ সহযোগিতা আসে। এটা হলে নিষিদ্ধ করাটা বেশ সুবিধাজনক হয়।

এদিকে আরবিআই জানান, ডিজিটাল কারেন্সি ক্রিপ্টো কোনো মুদ্রা নয়। আধুনিক যেকোনো মুদ্রাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক স্বীকৃত হতে হয়। সেই সঙ্গে এটিতে আর্থিক নীতি থাকতে হয় যা ক্রিপ্টোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ক্রিপ্টোর অর্থমূল্য পুরোটাই নির্ভর করে জল্পনা-কল্পনা ও উচ্চমাত্রায় বিনিয়োগ মুনাফার উপর। এটা যেকোনো দেশের মুদ্রানীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে।

ব্যাংকটির গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ডিজিটাল কারেন্সিকে ‘স্পষ্ট বিপদ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে- যে জিনিস বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয় সেগুলো কেবল মানসিক জল্পনা।

এর আগে, ভারত সরকার বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল কারেন্সিকে ঠেকাতে সেগুলোর উপর ৩০ শতাংশ কর আরোপ করেছে। এটা পহেলা এপ্রিল থেকে কার্যকর করা শুরু হওয়ায় ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের পরিমাণে প্রভাব পড়েছে। খবরে- লাইভমিন্ট

এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়ে এখনো কোন ঘোষণা দেননি। তারা এখনো বুঝতে পারছেন না যে ক্রিপ্টোকে তারা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসেট ক্যাটাগরিতে রাখবেন না কমোডিটি ক্যাটাগরিতে রাখবেন। এই অবস্থায় বিষয়টি নিরসনে তারা বৈশ্বিক হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন।

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.