স্বেচ্ছায় মিলনে সন্তানসম্ভবা হলে গর্ভপাত নয়: দিল্লি হাইকোর্ট

স্বেচ্ছায় যৌনমিলনে সন্তানসম্ভবা হয়ে নিজের ইচ্ছায় গর্ভপাত করাতে পারবেন না কোন অবিবাহিতা নারী। ২০০৩ সালের ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগেনেন্সি রুলস্’ অনুযায়ী, অনাগত সন্তানের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হলে গর্ভপাত করানো যাবে না। এই মর্মে, শনিবার (১৬ জুলাই) একটি মামলায় এমন রায় দেন দিল্লির হাইকোর্ট।

সম্প্রতি ২৫ বছরের এক তরুণী সন্তানসম্ভবা হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। এই সময় তিনি জানান, প্রেমিকের সঙ্গে নিজের ইচ্ছাতে তারা ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। কিন্তু এখনই তিনি মা হতে চান না। আদালতের কাছে গর্ভপাতের অনুমতি চান তিনি। বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ তরুণীর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে দিল্লির স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আদালত জানায়, ওই অবিবাহিতার গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স যেহেতু ২০ সপ্তাহের বেশি। মানে এখন তরুণীর গর্ভে থাকা সন্তানের বয়স ২৩ সপ্তাহ। ২০০৩ সালের ‘মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগেনেন্সি রুলস্’ অনুযায়ী, অনাগত সন্তানের বয়স ২০ সপ্তাহের বেশি হলে তাকে গর্ভপাত করানো যাবে না।

আদালত জানায়, আইন অনুযায়ী- ধর্ষণ, নাবালিকা অবস্থায় সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে অথবা বিয়ের পর সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছেন অথচ দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান- এসব ক্ষেত্রে ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যায়, অন্যথায় নয়।

সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালত আরও জানান, ২৩ সপ্তাহের পর ভ্রুণ নষ্ট করা মানে একটি শিশুকে হত্যার অপরাধ করা। ওই তরুণীর যদি পারিবারিক বা সামাজিক সমস্যা থাকে, তিনি বাচ্চাটিকে দত্তক দিতে পারেন। তাকে জোর করে সন্তানের দায়িত্ব নিতে হবে না। কিন্তু গর্ভপাত করানো যাবে না।

 

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.