পুতিন-জেলেনস্কির সঙ্গে এরদোয়ানের ফোনালাপ

রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য আসছে না। কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দর থেকে যে পথে জাহাজ বেরোবে, সেখানে রাশিয়া মাইন পেতে রেখেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগ। তাদের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেন থেকে কোনো পণ্যবাহী জাহাজকে বাইরে আসতে দিচ্ছে না। এর ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলো।

এই পরিস্থিতিতে এরদোয়ান নতুন করে খাদ্যশস্য আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে, জাহাজে ভরা খাদ্যশস্য বাইরে আনার জন্য প্রয়াসী হয়েছেন। এরদোয়ানের প্রস্তাব হলো, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশষস্য ভর্তি জাহাজ বাইরে আসার জন্য জাতিসংঘ একটি করিডোর ঠিক করে দেবে। সেখানে কোনো মাইন থাকবে না বা রাশিয়া সেই জাহাজ চলাচলে কোনো বাধা দেবে না।

ক্রেমলিন একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এরদোয়ান ও পুতিনের মধ্যে খাদ্যশস্য বাইরে যাতে যেতে পারে তা নিয়ে কথা হয়েছে।

জেলেনস্কি টুইট করে এরদোয়ানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুরি করছে। রাশিয়াকে এই কাজ বন্ধ করতে হবে।

ইউক্রেন বিশ্বের অন্যতম বড় খাদ্যশস্য উৎপাদক। কিন্তু রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে তারা আর খাদ্যশস্য বাইরে পাঠাতে পারছে না। এর ফলে ইউরোপ ও আফ্রিকায় খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। দাম অনেক বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে খাদ্যসুরক্ষা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জাতিসংঘ ইতিমধ্যেই সেফ করিডোরের কথা বলেছে। কিন্তু তাতে মস্কো ও কিয়েভের সম্পূর্ণ সমর্থন এখনো পাওয়া যায়নি।

ইউক্রেন ইউরোপের অন্য দেশের সঙ্গে ১২টি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে খাদ্যশস্য পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সংবাদসংস্থা এপি-কে ইউক্রেন গ্রেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হর্বাচভ বলেছেন, এত বিপুল পরিমাণ খাদ্যশস্য ইউরোপে পাঠানোর পরিকাঠামো তাদের নেই। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.