ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বের ধনী ও উন্নয়নশীল দেশের সমন্বয়ে গঠিত জোট, জি-২০ –এর সম্মেলনে চীন রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সামিটে রাশিয়াকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ থ্রেট ও চীনকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ বিবেচনা করে এক বিবৃতিতে দেয়া হলে চীন তার-ই প্রতিবাদে এই ঘোষণা দেয়। খবরে যুক্তরাষ্ট্রের দোভাষী সংবাদ মাধ্যম লা প্রেনসা
বিশ্বব্যাপী সুশাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে চীন রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে চায়। সেই সঙ্গে দেশটি বহুপাক্ষিক কাঠামোর আওতায় জাতিসংঘ, ব্রিকস, জি-২০ ও সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সঙ্গেও বিদ্যমান সম্পর্কের আরো উন্নয়ন করতে চায়। তবে তা অধিকতর সুষ্ঠ ও যৌক্তিক নির্দেশনার মাধ্যমে।
বুধবার (৬ জুলাই) চাইনিজ ডেপুটি পররাষ্ট্র মন্ত্রী, মা ঝাওসু এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতি অনুসারে, মা ঝাওসু রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিসভের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে “স্ট্রাটেজিক লিডারশিপ” বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের কর্মদক্ষতা বজায় রাখতে বলা হয়।
রুশ দূত ডেনিসভ বলেন, মস্কো বেইজিংয়ের সঙ্গে “গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত” বাস্তবায়নে করতে চাই যাতে দু’দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত পন্থায় নিরবচ্ছিন্ন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।”
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সামিটে চীন রাশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আলোচনায় বসবে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করে সেদিন থেকে চীনের অবস্থান নিয়ে সবদেশের মধ্যে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে চীন একবারের জন্যও ‘আক্রমণ’ বলে নি।
অর্থসূচক/এইচডি/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.