ঈদে মোটরসাইকেলে যাওয়া যাবে না গ্রামের বাড়ি

আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উদযাপনে মোটরসাইকেলে করে যাওয়া যাবে না গ্রামের বাড়ি। বন্ধ থাকবে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো। মহাসড়কে করা যাবে না রাইড শেয়ারিং।

মহাসড়কে বিশৃঙ্খলা এড়ানো এবং সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ঈদ প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরে তিন দিন মোট সাত দিন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেলে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে।

এই নির্দেশনা ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত থাকবে বলে জানানো হয়।

রোরবার সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঈদের সাত দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের বিষয়ে সড়ক সচিব আমিনুল্লাহ নুরি বলেন, ‘ঈদের সময় মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না। এক জেলা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আরেক জেলায় যে মানুষ যায়, হাইওয়েতে এটা করা যাবে না। এক জেলার মোটরসাইকেল অন্য জেলায় যাবে না।

‘ঈদের আগের তিন দিন, ঈদের দিন আর ঈদের পরের তিন দিন, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া এটা করা যাবে না। কোনো কারণে যদি যেতে হয় তাহলে পুলিশকে জানিয়ে তারপর যেতে হবে। এটা বৈঠকের রেজ্যুলেশন আকারে খুব শিগগিরই বের হবে।’

গত ঈদে হাজার হাজার মানুষ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরে। ফলে বিভিন্ন সড়কে আগে যে দীর্ঘ যানজট দেখা যেত সেটি ছিল না। রাস্তায় গণপরিবহনেও ছিল না বাড়তি ভিড়। যাত্রীর অভাবে অনেক বাসের যাত্রা বাতিল করা হয়। ঈদে যাত্রীদের জিম্মি করে পরিবহন খাতে যে বেপরোয়া ব্যবসা হয়, তার অনেকটাই মোটরসাইকেলে বাড়ি যাওয়ার কারণে ভেস্তে যায়।

এরপরই পরিবহন মালিকরা মহাসড়কে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে।