ইরাক-সৌদিকে টপকে রাশিয়ার তেল এখন চীন ও ভারতে

রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল ঢুকছে ভারতে ও চীনে। ইউরোপে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় রাশিয়া এ সুবিধা নিচ্ছে এশিয়ার বৃহত্তর তেল আমদানিকারক ভারত ও চীন। সতর্কস্থানে রয়েছে ইরাক ও সৌদি আরব। কারণ এশিয়ায় এ দুটো দেশের তেল রপ্তানির দাপট কমেছে। খবরে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস

টাইমের প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ ও আন্তর্জাতিক তথ্য বিশ্লেষণকারী দু’টি প্রতিষ্ঠান বলছে, বিশ্বের ৩য় শীর্ষ তেল আমদানিকারক ভারত চলতি মাসেই রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে তেল কিনেছে ১ থেকে ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল। এটা ইরাকের কাছ থেকে তেল আমদানির কাছাকাছি বা একটু বেশি। তবে এটা সৌদি আরবের চেয়ে অবশ্যই বেশি। ইরাক ভারতে রাশিয়ার তেল ঢোকার বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছে না। যেহেতু ইরাককে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ক্রমাগত ডিসকাউন্ট দিয়ে এশিয়ার মার্কেটে তেল বিক্রি করতে হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান কাপলার বলছে, জুনে মস্কো প্রতিদিন গড়ে ১২ লাখ ব্যারেল তেল ভারতে পাঠিয়েছে। যেখানে বাগদাদ প্রতিদিন গড়ে ১০ লাখ ১০ হাজার ব্যারেল তেল ও রিয়াদ ৬ লাখ ৬২ হাজার ব্যারেল তেল পাঠিয়েছে।

আরেক প্রভাবশালী তথ্য বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ভোরটেক্স জানায়, দৈনিক হিসাবে ইরাকের চেয়ে রাশিয়া ভারতকে বেশি তেল সরবরাহ করেছে। ইরাক ১০ লাখ ১৩১ হাজার ব্যারেল পাঠালেও রাশিয়া পাঠিয়েছে ১৬ লাখ ব্যারেল।

এদিকে রাশিয়া থেকে সস্তায় অপরিশোধিত তেল আমদানিকে ভারত জাতীয় স্বার্থ বলে উল্লেখ করেছেন। ভারত তেল ক্রয় বাবদ একটা অংশ নগদে রাশিয়াকে দিয়েছে। একইভাবে চীনও। আর এটা দিয়েই রাশিয়া তার যুদ্ধের অর্থায়ন ব্যয় মেটাচ্ছে।

ট্র্যাকিং ডাটা অনুসারে, সস্তায় রাশিয়ান তেল চীন ও ভারতে যাওয়ায় তেল রপ্তানি কমেছে ইরাক ও সৌদির। এশিয়ার বাজারে রাশিয়ার তেল সরবরাহ বাড়ায় এ দুটি দেশ আগের মতো ভারতের কাছে তেল বিক্রি করতে পারছে না। চলতি বছরের এপ্রিল হতে দিনে ইরাক ও সৌদির ভারতে তেল রপ্তানি কমেছে প্রায় ৫ লাখ ব্যারেল।

অর্থসূচক/এইচডি/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.