খেলোয়াড় হিসেবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। কোচিং ক্যারিয়ারে এসেও বদলায়নি ম্যাককালামের দর্শন। এদিকে বেন স্টোকস বরাবরই লড়াকু মানসিকতার। দলের জন্য লড়তে পছন্দ করেন, সঙ্গেও জিততেও ভালোবাসেন। এমন আক্রমণাত্বক মানসিকতার দুজনকে ইংল্যান্ডের দায়িত্ব দেয়ায় অনেকের মাঝে হিতে বিপরীত হওয়ার শঙ্কাও ছিল। তবে সব শঙ্কা দূর করে স্টোকস-ম্যাককালামকে নিয়ে খেলা বাজিতে ঠিকই জিতেছে ইংল্যান্ড।
হেডিংলিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্বাগতিকদের জয় ৭ উইকেটে। তাদের জুটির হ্যাটট্রিক জয়ে হোয়াইটওয়াশড নিউজিল্যান্ড। হেডিংলিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট জিততে শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১৩ রান। হাতে উইকেট ছিল আটটি। এমন সমীকরণের ম্যাচে ২ উইকেটে ১৮৩ নিয়ে শেষ দিনের প্রথম সেশনে খেলতে নামে ইংল্যান্ড। দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও দিনের শুরুতেই ফিরেছেন ওলি পোপ। আগের দিনের সঙ্গে মাত্র এক রান যোগ করতে পেরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
টিম সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বল সুইং করে ভেতরে ঢুকলে বোল্ড হন পোপ। ডানহাতি এই ব্যাটার ৮২ রান করে ফিরলে ভাঙে রুটের সঙ্গে তার ১৩৪ রানের জুটি। এরপর জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন রুট। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন বেয়ারস্টো। তাতে ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কায় মাত্র ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান তিনি।
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪৪ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডের ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন বেয়ারস্টো। ডানহাতি এই ব্যাটারকে সঙ্গ দেয়া রুট অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানের ইনিংস খেলে। এদিকে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে এক সিরিজে তিনবার আড়াইশর বেশি রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.