আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ডব্লিউপিপিএফ (Workers Profit Participation Fund-WPPF) সম্পর্কে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বহাল থাকলে দেশের ব্যবসার পরিবেশ নষ্ট হবে বলে মনে করছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।
বুধবার (২২ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের উপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আশংকা প্রকাশ করে ডব্লিউপিপিএফ সংক্রান্ত বর্তমান বিধান বহাল রাখার তাগিদ দিয়েছে বিদেশী উদ্যোক্তাদের এ সংগঠন।
উল্লেখ, বর্তমানে ডব্লিউপিপিএফে দেওয়া অর্থকে কোম্পানির ব্যয় হিসেবে দেখানোর সুযোগ আছে। কিন্তু আগামী অর্থবছরের বাজেটে এটিকে ব্যয় হিসেবে গ্রহণ না করার কথা বলা হয়েছে। এ প্রস্তাব চূড়ান্ত বাজেটে বহাল থাকলে তা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আয়করের বোঝা ও কার্যকর করের হার বাড়িয়ে তুলবে। এতে নষ্ট হবে ব্যবসার পরিবেশ।
রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত বাজেটের আরও কয়েকটি প্রস্তাবনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে করপোরেট কর হার হ্রাস করে এই সুবিধা প্রাপ্তির সাথে নগদ লেনদেনের শর্ত জুড়ে দেওয়ার বিষয়টিকে অবাস্তব মনে করছে এফআইসিসিআই।
বাজেটে করপোরেট কর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এই সুবিধা পেতে পেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সব প্রাপ্তি আসতে হবে ব্যাংকিং চ্যানেলে। অন্যদিকে বছরে সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা নগদে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে লেনদেন করা যাবে।
এফআইসিসিআই আলোচিত ধারাটি সংশোধন করে মোট প্রাপ্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নগদে গ্রহণ করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সেটি ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা যেতে পারে বলে মনে করছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে এফআইসিসিআই প্রস্তাব করেছে যে, এই অসঙ্গতি দূর করতে আইটিও, ১৯৮৪-এর ৩০তম ধারা সংশোধন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে করপোরেট খরচের অন্তত ১০% নন-ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রদান করার অনুমতি দেওয়া উচিত। হ্রাসকৃত করের হারের সুযোগ পেতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও নাসের এজাজ বিজয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনএফআইসিসিআই অ্যাডভাইজার ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ-এর এমডি রূপালী চৌধুরী, বৃটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) এমডি শেহজাদ মুনিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লি. এর এমডি জাভেদ আখতার, নেসলে বাংলাদেশের চেয়ারম্যান দীপাল আবেইউইক্রেমা, বার্জার পেইন্টসের সিএফও সাজ্জাদ রহীম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এফআইসিসিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক টি.আই.এম নূরুল কবির।