শিক্ষার্থীদের চুলের স্টাইল নিয়ে কঠোর জাপান

জাপানের বিদ্যালয়ে ছাত্রদের চুলের ছাঁট, স্টাইল, রং নিয়ে কঠোর নিয়ম রয়েছে৷ আদালতে ওঠা একটি মামলা এবং সংবাদপত্রের সমালোচনামূলক নিবন্ধে সম্প্রতি এ কথা উঠে এসেছে৷

দক্ষিণ জাপানের ২০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি বলেন যে, তিনি কুমামোতো শহরের সেসেইকো হাইস্কুলে ছাত্র থাকাকালীন যে সমস্যায় পড়েছিলেন তা আদালতে জানিয়েছেন৷

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি আদালতকে বলেন, তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ ২০১৭ সালে স্কুলের স্পোর্টস ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন৷ ‘ঐতিহ্য’ মেনে তাকে মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করা হয়৷ তিনি স্কুল ছেড়ে দেন৷

মাইনিচি সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছে যে, একজন শিক্ষক ১৬ বছরের এক ছাত্রীর চুল টেনে ধরে তাকে বকাঝকা করেছেন৷ কোবের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য যে নিয়ম রয়েছে, সেটি অনুযায়ী ওই ছাত্রীর চুলের রং কালো ছিল না৷

সংবাদপত্রের প্রতিনিধিকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিল, পুলের রাসায়নিকের ফলে তার চুলগুলি কিছুটা গাঢ় বাদামি হয়ে গিয়েছিল৷ ওই ক্লাবে সে নিয়মিত সাঁতার কাটতে যায়৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে তাকে নিশ্চিত করেছিল যে তার চুলের রংয়ের নিয়ম তার ক্ষেত্রে অনুসরণের প্রয়োজন নেই৷ কিন্তু তারপরেও শিক্ষকের ওই আচরণের ফলে উদ্বেগজনিত রোগে ভুগছে ওই ছাত্রী ৷ দুই সপ্তাহ স্কুলে যেতে পারেনি সে৷

জাপানের স্কুলগুলি দীর্ঘদিন ধরে পোশাক এবং চেহারাসংক্রান্ত কঠোর নিয়মের জন্য কুখ্যাত৷ এমনকি ছাত্রদের অন্তর্বাসের রং নিয়েও নিয়ম ছিল৷ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই বিধি নিয়ে নানা কথা ওঠায় অনেক স্কুল ধীরে ধীরে কিছু নিয়ম শিথিল করেছে৷ তবে অনেক নিয়ম রয়ে গিয়েছে এবং সমালোচকরা বলছেন যে তারা অন্য যুগের ‘হ্যাংওভার’ নিয়ে বসে আছে৷

এদিকে জাপানের শিক্ষক সংগঠনগুলিও স্কুলে পোশাক এবং চুলের স্টাইল নিয়ে নিয়মের অতিরিক্ত বিধিনিষেধের সমালোচনা করেছে৷ ন্যাশনাল টিচার্স ফেডারেশনের একজন মুখপাত্র তামাকি তেরাজাওয়া বলেন, তারা পুরনো আমলে পড়ে রয়েছে৷ সূত্র : ডিডাব্লিউ

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.