নেপালে আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নেবেন ২০ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা

আগামী ১৬-২০ জুন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠেয় পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মেলায় দেশের ২০ জন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করবেন।

কাঠমান্ডুর ভ্রিকুতিমন্ডপ এক্সিবিশন হলে নেপাল চেম্বার অব কমার্স এই মেলার আয়োজন করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহায়তায় মেলায় দেশীয় অংশগ্রহণকারীদের বিনামূল্যে অংশগ্রহণে সার্বিক সহায়তা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

সোমবার (১৩ জুন) এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের বাজারজাতকরণেও অনেক পিছিয়ে আছেন।

প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তার অংশ হিসেবে এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, পণ্যের প্রচার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশি পণ্যের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য (তাঁত, সিল্ক, মসলিন, বিভিন্ন টাই-ডাই করা পোশাক, হোম ডেকর, জুয়েলারি, কাঁথা, চামড়াজাত পণ্য) প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তাদেরকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাধ্যমে নেপালের এ মেলায় বিনামূল্যে অংশগ্রহণে সহায়তা করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

এসএমই পণ্যের প্রচার, প্রসার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণে সহায়তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে উদ্যোক্তাদের এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য অনেক সম্ভাবনাময়। একক দেশ হিসাবে নেপাল বাংলাদেশের পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থল।

পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত মেলায় নেপাল ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের উদ্যোক্তারা ১৫০টি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। মেলায় অংশ নিয়ে এসএমই উদ্যোক্তারা নিজেরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি নেপালের স্থানীয় বাজারে ভবিষ্যতে এসএমই পণ্য রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.