রাজস্ব আদায়ে এনবিআরকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। কারণ, রাজস্ব আয় না বাড়ানো গেলে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকা- মুখ থুবড়ে পড়বে। এজন্য এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ে আসন্ন অর্থ বছরে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

রোববার (১২ জুন) রাজধানীর গুলশানে হোটেল শেরাটনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবয়াক সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের একজন সচেতন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে বলতে চাই- সামাজিক সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা রক্ষা করা না গেলে দেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না। ফলে সরকারের সব অর্জন হুমকির মুখে পড়তে

পারে। এ বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি করা হলে নিজেদের পায়ে নিজেদেরই কুড়াল মারা হবে। তাই সবাইকে একসঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।

ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ২০২২-২০২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের টার্গেট গ্রহণযোগ্য হলেও বাস্তবায়ন কঠিন হবে। এতে সামাজিক সুরক্ষার জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা বাজেটের অনুপাতে খুবই কম। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর বড় অংকের রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের ওপর করের চাপও বাড়বে।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব। বাজেটে নতুন বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু

সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা বলা হয়নি। বৈশ্বিক এ সঙ্কটের সময়ে বাজেটে দরিদ্র মানুষের বাজেটে কিছু নেই।

তিনি আরো বলেন, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সার্বজনীন পেনশনের কথা বলা হয়েছে, তবে তা বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। তিনি বলেন, দারিদ্র বিমোচনে বাজেটে আরেকটু বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার ছিল। এখাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বাড়তি দিলে হয়তো বয়স্ক বাতা ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে সাতশ টাকায় উন্নীত করতে পারতাম।

তিনি আরো বলেন, এখনো সময় আছে। আমি মনে করি, বাজেটে কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা সম্ভব। সরকার ইচ্ছা করলে অন্য খাতে বরাদ্দ কমিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা দারিদ্র বিমোচনে যুক্ত করতে পারে।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে এ গবেষক বলেন, মূল্যস্ফীতির লক্ষ ঠিকই আছে। কিন্তু লক্ষ অর্জনের সঠিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতাতেও বলা হয়নি। এবং মূদ্রানীতিতে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তাও বলা হয়নি। প্রধানত, মূল্যস্ফীতিকে ম্যানেজ করা হয় মূদ্রনীতির মাধ্যমে। কিন্তু মুদ্রানীতির ব্যবহার ৬ -৯ শতাংশ করে দিলে মুদ্রানীতির ব্যবহার কিছু থাকে না, অচল হয়ে যায়।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.