সারের দাম বাড়ছে না

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’এই শিরোনামকে সামনে রেখে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) জাতীয় সংসদে এই বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী ।

বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পেলেও সারের দাম বাড়াচ্ছে না সরকার। এ বছরও ভর্তুকি বাড়িয়ে সেটি সমন্বয় করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে সারের ক্ষেত্রে সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে।

তিনি আরও বলেন, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে সার বাবদ ভর্তুকির পরিমাণ প্রাক্কলন করা হয়েছিল মোট ৯,৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু মে ২০২১ এর তুলনায় মে ২০২২ সময়ে অন্যান্য সারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে ডিএপি ৪৭ শতাংশ, এমওপি ১৭৭ শতাংশ এবং টিএসপির ৫৭ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ মূল্য বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের সার মিলিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরে এ বরাদ্দ বাড়িয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।

আজ বাজেট উপস্থাপনের পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংসদ সদস্যরা আলোচনা করবেন। এরপর আগামী ৩০ জুন প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হবে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট এটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট।

স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকার।

১৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন সদস্য প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে। সেটার আকার ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর সবশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তার বাজেটের আকার ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.