টিপু হত্যাকাণ্ড: মুসাকে ফিরিয়ে আনলো পুলিশ

আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রাজধানীর মতিঝিলের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ জোড়া খুনের ঘটনায় অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ সুমন শিকদার ওরফে মুসাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে ওমানের রাজধানী মাসকাট থেকে মুসাকে নিয়ে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল ঢাকায় পৌঁছায়।

এর আগে ৬ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহিদুর রহমান রিপন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দীন ওমানের রাজধানী মাসকাটে যান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টিপু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার পর মোল্লা শামীমকে দায়িত্ব দিয়ে গত ১২ মার্চ দুবাই চলে যান মুসা। হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তে মুসার নাম আসলে দুবাই থেকে সে পালিয়ে ওমান চলে যায়। মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মুসার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখার মাধ্যমে রয়েল পুলিশ অব ওমানের এনসিবি শাখাকে চিঠির মাধ্যমে মুসাকে গ্রেফতারে সহযোগিতা চায়। বাংলাদেশ পুলিশের অনুরোধে গত ১৭ মে ওমানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের শহর সালালাহ-তে আইয়ুব (আ.) নবীর সমাধি জিয়ারত করে ফেরার সময় রয়েল পুলিশ অব ওমান মুসাকে আটক করে। পরে ওমানের পুলিশ বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশকে জানালে সংস্থাটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি টিম মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ওমান যায়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, তিন-চার মাস আগে টিপু হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মুসার সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। এর মধ্যে প্রথমে মুসাকে ৯ লাখ টাকা দেন তিনি। মার্চের ১২ তারিখে টাকা নিয়ে দুবাই চলে যান সুমন শিকদার ওরফে মুসা। আন্ডারওয়ার্ল্ডে তিনি শুটার মুসা নামে পরিচিত। জোড়া খুনের তদন্তে তার নাম আসার পরই নড়েচড়ে বসেছিলেন গোয়েন্দারা। মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল, মিরপুরের পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র মামলাসহ ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ-বিকাশ গ্রুপ ও মানিক গ্রুপের সদস্য। মতিঝিল এজিবি কলোনিতে যুবলীগ নেতা রিজভী হাসান ওরফে বোঁচা বাবু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন শিকদার ওরফে মুসা।

এদিকে আলোচিত এই হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন আদালতে ১৬৪ ধায়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে শুটার মাসুমের জবানবন্দিতে হত্যার পরিকল্পনায় মুসার নাম আসে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.