চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় প্রাইভেট আইসিটি বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় তাকে ভর্তি করা হয়। অগ্নিদগ্ধ এই ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম মণ্ডল, পেশায় গাড়িচালক।
সোমবার (৬ জুন) হাসপাতাল সূত্র জানায়, সীতাকুণ্ডের ঘটনায় ন ন মণ্ডলকে নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ভর্তি দগ্ধ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ জন। এর মধ্যে পোস্ট অপারেটিং ওয়ার্ডে (পিওডাব্লিউ) ছয় জন, জরুরি বিভাগে চার জন, আইসিইউতে দুই জন এবং এসডিইউতে ভর্তি আছেন দুই জন। এদের অর্ধেকের বেশির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এছাড়াও একজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতাল সূত্রমতে, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া অগ্নিদগ্ধদের অধিকাংশই শ্রমিক। দুই জন ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পাঁচ জন গাড়িচালক। ইনস্টিটিউটে ভর্তি দুই ফায়ার সার্ভিসকর্মী হলেন- গাউসুল আজম ও রবিন। তারা দুজনই বিবাহিত। তাদের মধ্যে গাউসুল আজমের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি। রবিনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হলেও, তার অবস্থা কিছুটা ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ফায়ারম্যান গাউসুল আজমের বাবা আজগর আলী বলেন, ‘দূর থেকে একবার দেখেছি ছেলেকে। ছেলের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবরে পুরো পরিবার ভেঙে পড়েছে। সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে জানানো হয়েছে, ছেলে ভালো আছে। গাউসুলের ৫ মাস বয়সী একটি সন্তান রয়েছে।’
আরেক ফায়ার সার্ভিসকর্মী রবিনের স্ত্রী বন্যা আক্তার বলেন, ‘একটি অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে পাওয়া কলে স্বামীর অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। এখানে ভর্তি হওয়ার কথা জানতে পেরে ছুটে এসেছি।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে শব্দে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা কেঁপে উঠে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ২২ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.