সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের নিহত কর্মীর সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও, গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মী গাউসুল আজম ও সীতাকুণ্ডু স্টেশনের রবিউলকে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। গাউসুলের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং রবিউলের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
রোববার (৫ জুন) ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত ৯টা ২৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের এ সংবাদ পায় তারা। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম ও আশপাশের সব ফায়ার স্টেশন দুর্ঘটনায় অংশগ্রহণ করে। দুর্ঘটনার একপর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফার্স্টলাইনে কাজ করা কর্মীরা গুরুতর আহত হন। এরমধ্যে ৮ জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার বলেন, কন্টেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়নি। আগুন নেভাতে সেখানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘প্রায় ২৫ বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ করছি। এত বছরে কখনও এক দুর্ঘটনায় এত মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেনি। আমার জানা মতে, এর আগে কখনো একটি ঘটনায় এত অগ্নিনির্বাপক কর্মীর মৃত্যু হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ সদস্যের বিশেষ দল হ্যাজম্যাট সীতাকুণ্ডু গিয়েছে। এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মনির হোসেন। তারা ইতোমধ্যে সেখানে কাজ শুরু করেছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও আয়ত্ত্বের মধ্যে আছে। নতুন করে আগুন আর বাড়ছে না।’
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পরই ডিপোতে থাকা আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনারে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে শব্দে আশেপাশের চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে উঠে। আশপাশের অধিকাংশ বিল্ডিয়ের কাঁচের গ্লাস ভেঙে যায়। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সবগুলো ইউনিট চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে অগ্নি নির্বাচক গাড়ি পাঠাতে অনুরোধ করা হয়। যোগ দেয় ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.