এবার টেসলার কর্মীদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন ইলন মাস্ক

কর্মীদের উপর চটলেন টেসলা মোটরসের সিইও ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। এক চিঠিতে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হয় ফুল টাইম অফিস করেন, না হয় অফিস ছেড়ে চলে যান। গতকাল (১ মে) সিএনবিসি এ খবর জানায়।

টেসলার নিয়োজিত সকল কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে এক চিঠি পাঠিয়েছেন ইলন মাস্ক। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, টেসলার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিযুক্ত সকলকে সপ্তাহে কমপক্ষে ৪০ ঘন্টা অফিসে এসে কাজ করতে হবে। যদি তা না করে, তাহলে তারা অফিস ছেড়ে চলে যেতে পারেন।

যারা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কাজ করতে ইচ্ছুক, তাদেরকেও তিনি কোনো ছাড় দেননি। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশেষভাবে যদি এমন কেউ আছে যে টেসলাতে অনবদ্য অবদান রাখছে এবং তার পক্ষে অফিসে এসে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে তাদের বিষয়টি আমি নিজেই পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেব।

মাস্ক আরও জানান, টেসলা অনেক আগেই দেউলিয়া হয়ে যেত যদি টেসলাতে না থাকতাম। এমনও কোম্পানি আছে যাদের এমন কঠোর হতে হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো সর্বশেষ কখন তারা ভালোমানের নতুন একটা পণ্যের বিশাল চালান দিয়েছে?

এবার মাস্ক টেসলায় কর্মরত সিনিয়রদের উদ্দেশ্য বলেন, যারা কারাখানায় পুরনো তাদের কারখানায় উপস্থিত থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বে সবচাইতে আকর্ষণীয় পণ্য উৎপাদনের ক্ষমতা টেসলার রয়েছে যা টেসলা করতে পারবে। ঘরে বসে, ফোনে কথা বলে এটা করা যাবে না।

স্পষ্টভাষী মাস্কের কাজের রয়েছে তীব্র ঝোঁক। তিনি কারখানা ও অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের এভাবে বাধ্য করছেন কারণ তিনি চান কর্মীরা যেন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারে। যখন করোনাকাল ছিল, সংক্রমণ যখন ক্যালিফোর্নিয়া বাড়ছিল, তখনও মাস্ক তার উৎপাদন বন্ধ রাখেননি। উল্টো তিনি “স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ”-কে ফ্যাসিস্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।

সিএনবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বড় বড় প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান- আমাজন, অ্যাপল, এলফাবেট (গুগল) ও মেটা (ফেইসবুক) তাদের কর্মচারীদের অবস্থান ও পদ অনুসারে ঘরে বসে কিছুটা হলেও কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠান টেসলার মতো তাদের স্টাফদের অফিসে এসে কাজ করার জন্য এত চাপাচাপি করছেন না। তবে বিষয়টি মাস্ককে জানানো হলে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করেননি।

 

অর্থসূচক/এইচডি/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.