২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ২৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন দাস। সেই সঙ্গে পেয়েছিলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এমন পারফরম্যান্সের সুবাদে র্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি হয়েছে লিটনের।
চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে তিন ধাপ উন্নতি করা লিটন ঢাকা টেস্ট শেষে ফিরেছেন ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসির নতুন হালনাগাদ অনুযায়ী ১২তম স্থানে রয়েছেন লিটন। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে গেছেন এই উইকেটকিপার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০৯ রেটিং পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন তামিম।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর ৫২ রানে ফিরতে হয়েছিল লিটনকে। এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে ফিরেছিলেন তিনি।
এদিকে ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিলেন তামিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এমন পারফরম্যান্সের পর টেস্টে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫ ধাপ পিছিয়ে গেছেন তিনি। ৫৭৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩২ নম্বরে নেমে এসেছেন তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনার পিছিয়ে গেলেও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া মুশফিক এগিয়েছেন সাত ধাপ। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ২৩ রান। তাতে সেরা বিশে উঠে এসেছেন তিনি। ৬৭৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে মুশফিকের অবস্থান আঠারোতে।
লম্বা সময় ধরেই ব্যাট হাতে ছন্দে নেই মুমিনুল হক। ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৯ রান। তাতে র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ পিছিয়ে গেছেন মুমিনুল। ৪৮১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে মুমিনুলের অবস্থান ৬৪ তে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিংয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। চট্টগ্রামের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলের প্রয়োজনের খেলেছিলেন অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংস। তাতে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৬ তম স্থানে উঠে এসেছেন ম্যাথিউস। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের রেটিং পয়েন্ট ৬৭৯।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.