বাংলাদেশের ঢাকা ও ভারতের নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হয়েছে। বুধবার সকালে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম ও ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মিতালী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি উদ্বোধন করেন।
প্রথম ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আজ বেলা পৌনে ১২টায় রওনা দেয়। ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছবে এদিন রাত সাড়ে ১০টায়। মিতালী এক্সপ্রেস বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়া তৃতীয় ট্রেন। অন্য দুটি ট্রেন হলো মৈত্রী ও বন্ধন।
ট্রেনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে হলদিবাড়ি, চিলাহাটি, পার্বতীপুর হয়ে বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পৌঁছাবে। মিতালী এক্সপ্রেস দুই দেশের মধ্যে মোট ৫১৩ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দেবে। পশ্চিমবঙ্গের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনটি ছাড়বে প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বুধবার। ওই দুদিন এনজেপি থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় নির্ধারিত হয়েছে বেলা পৌনে ১২টা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আর এনজেপি’র মধ্যে মিতালী এক্সেপ্রেসের কোনো বাণিজ্যিক স্টপেজ থাকছে না। তবে, কারিগরি কারণে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রেনটি ১০ মিনিটের দুটো স্টপেজ দেবে। ওই দুই স্টেশন হলো- ভারতের দিকে শেষ স্টেশন হলদিবাড়ি; আর, বাংলাদেশের দিকে প্রথম স্টেশন চিলাহাটি।
এ ‘টেকনিক্যাল স্টপেজ’ দুটোর কারণ হলো- সীমান্তে ট্রেনের ড্রাইভার বদল হবে। ভারতের অংশে ভারতীয় চালকেরাই ট্রেনটি চালাবেন। বাংলাদেশে ঢোকার পর মিতালী এক্সেপ্রেসের দায়িত্ব নেবেন বাংলাদেশ রেলের ট্রেন-চালক।
রেলসূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে যে ট্রেন দুটি ছাড়বে, সেটিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে যাত্রীপ্রতি ভাড়ার হার হবে বাতানুকূল (এসি) কেবিন বার্থ চার হাজার ৯০৫ রুপি, বাতানুকূল (এসি) কেবিন চেয়ার তিন হাজার ৮০৫ রুপি এবং সাধারণ এসি চেয়ার কার দুই হাজার ৭০৭ রুপি।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.