রেপো সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

রেপো সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা বর্তমানে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ রয়েছে। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত মনিটারি পলিসি কমিটি’র (এমপিসি) ৫৪তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই বিষয়ে বাংলােদশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রোববার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত এই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী,  বাংলাদেশ ব্যাংকের রেপো সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৪.৭৫ (চার দশমিক সাত পাঁচ) ভাগ হতে ২৫ (পঁচিশ) বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে শতকরা ৫.০০ (পাঁচ দশমিক শূন্য শূন্য) ভাগে পুনঃনির্ধারণ করা হয়; যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

তবে রিভার্স রেপো সুদহার বিদ্যমান বার্ষিক শতকরা ৪.০০ ভাগে অপরিবর্তিত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, দেশের মূল্যস্ফীতি সীমিত রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো সুদহার বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, চলমান করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের তীব্রতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রসারণমূলক রাজস্ব ও মুদ্রানীতি গ্রহণের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে, বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্নতা, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলসহ সকল ধরণের পণ্য (খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত) মূল্যের ঊর্ধ্বগতির পরিস্থিতি এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ও বৈশ্বিক অর্থনীতির মূখ্য সূচকসমূহের পর্যালোচনার জন্য দেশের মুদ্রানীতি সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রেপো সুদহার বাড়ালেও রিভার্স রেপো আগের মতোই ৪ শতাংশ রয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে তারল্য সরবরাহ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো ও রিভার্স রেপোর সুদহার বাড়িয়ে থাকে। রেপোর সুদ হার বাড়লে ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিকিউরিটিজের বিনিময়ে নেওয়া টাকার জন্য বেশি পরিমাণে সুদ দিতে হবে। আর রিভার্স রেপোর হার বাড়ালে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সিকিউরিটিজ নিয়ে টাকা রাখলে অধিক সুদ পায়। এ উভয় প্রক্রিয়াতেই ব্যাংকগুলোতে তারল্য সরবরাহ (নগদ টাকার জোগান) কমানো হয়, যা সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির ইঙ্গিত বহন করে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.