সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিক মনোযোগ দেয়ার কথা জানিয়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন মঈন আলী। আরেক স্পিনার আদিল রশিদ ২০১৯ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলছেন না। যদিও এই দুজনকেই দেখা যেতে পারে ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেটে। এমনটাই চাওয়া ইংল্যান্ডের নব্য টেস্ট কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের।
মঈন টেস্ট ছেড়েছেন আগেই। ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পুরোপুরি অলরাউন্ডারও বনে গেছেন। এদিকে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিজটাউন টেস্টে শেষবারের মতো ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন রশিদ। এরপর দলে সুযোগ পাননি তিনি। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে অপরিহার্য সদস্যে পরিণত হন স্পিনার জ্যাক লিচ। তবে মঈন ও আদিলের দিকে নজর গিয়েছে ম্যাককালামের। এমনকি সীমিত ওভারের ক্রিকেটের আরেক অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনকেও টেস্ট দলে চান তিনি।
ডেইলি মেইলকে ম্যাককালাম বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা ভেবে দেখব। আমি নিশ্চিত, মো (মঈন) ফিরতে চায় আর ফেরার জন্য সে পুরোপুরি প্রস্তুত। ব্যাপারটা দারুণ চ্যালেঞ্জিং হবে। সন্দেহ নেই। যদিও আমি নিশ্চিত নই, আদিলের মতো কেউ পুরো বছর ধরে সবগুলো ম্যাচে খেলবে কিনা। তবে তাদের ব্যাপারে আমার চিন্তাভাবনা হচ্ছে, তারা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেটার হয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখতে সমস্যা কী। লিভিংস্টোন, মঈন, রশিদদের সবাই আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে, অন্যান্য ফরম্যাটে তারা যথেষ্ট সফল। আপনি এমনটা ভাবতেই পারেন যে তাদের সাফল্য এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে নিয়ে আসবেন।’
এরই মাঝে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ইতোমধ্যেই মঈনের সাথে ম্যাককালামের কথা হয়েছে। ইংল্যান্ডের লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে আসতে মঈনও রাজি হয়েছেন। মঈন, রশিদ, লিভিংস্টোন ছাড়াও জস বাটলারকে টেস্ট দলে নিয়মিত চান ম্যাককালাম।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.