বাংলাদেশের সন্নিকটে শ্রীলঙ্কা

শুরুটা দুর্দান্ত করলেও সেটা দিনের পুরোটা সময় ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার প্রতিরোধে বৃষ্টি বাধা দিলেও দমাতে পারেনি তাদের দুজনকে। শেষ পর্যন্ত তাদের দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে তৃতীয় দিনের দাপটের পাল্লাটা নিজেদের দিকেই ভারী করেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন বাংলাদেশের সাফল্য বলতে দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়ার উইকেট। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিং করতে না পারা শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৮২ রান। বাংলাদেশের চেয়ে ৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিন ব্যাটিং নামবে সফরকারীরা।

আগের দিনের ২ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। তবে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় সফরকারীরা। দিনের দ্বিতীয় বলে আগেরদিনের নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন রাজিথা। বল হাতে ৫ উইকেট নেয়া রাজিথা ফিরেছেন ব্যাট হাতে শূন্য রানে।

দিনের শুরু থেকেই আঁটসাঁট বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। এবাদত শুরুতে সাফল্য পেলেও সাকিব আল হাসানকে অপেক্ষা করতে হয়েছে বেশ কয়েক ওভার। তবে উইকেট নেয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন সাকিব। পুরো ইনিংসে দুবার জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি পথে হাঁটতে থাকা দিমুথ করুনারত্নেকে ফিরিয়েছেন তিনি। বাঁহাতি এই স্পিনারের টসড আপ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন করুনারত্নে। মূলত ব্যাট ও প্যাডের মাঝে বেশ খানিকটা ফাঁকা থাকায় সেখান দিয়ে বল স্টাম্পে আঘাত করে। তাতে ৮০ রানে সাজঘরে ফেরেন শ্রীলঙ্কার টেস্ট অধিনায়ক। করুনারত্নে ফেরার পর শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ দাপট দেখালেও দ্বিতীয় ঘণ্টায় প্রতিরোধ গড়ে শ্রীলঙ্কা।

এদিকে সকাল থেকেই খানিকটা মেঘলা ছিল মিরপুরের আকাশ। সময় যত বেড়েছে মিরপুরের বাতাস ততই ভারী হয়েছে। সেটা বৃষ্টি হয়ে নেমেছে বেলা ১২ টা ৩ মিনিটে। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি শেষে বিকেল চারটা নাগাদ শুরু হয় খেলা। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় সেশনে ভেস্তে যাওয়ায় তৃতীয় সেশনে ৩৭ ওভার খেলার সুযোগ দেয়া হয় দুই দলকে।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ছিলেন ম্যাথিউস ও ধনাঞ্জয়া। সময়ে সঙ্গে সঙ্গে রান তোলার গতি বাড়িয়েছেন তারা দুজন। দ্রুতগতিতে রান তোলা এদিন হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ৯০ বলে। ধনাঞ্জয়ার পর হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ম্যাথিউসও। ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করা ডানহাতি এই ব্যাটার খেলেন ১২৫ বল। দুজনে হাফ সেঞ্চুরি করার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে গড়েন শতরানের জুটি। এদিকে হাফ সেঞ্চুরির পর আরও খানিকটা আক্রমণাত্বক হওয়ার চেষ্টা করেন ধনাঞ্জয়া। দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটারকে থামান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে ডিফেন্স করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হয়েছেন ধনাঞ্জয়া।

যদিও শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে নিজেদের মাঝে খানিকটা আলোচনা সেরে রিভিউ নেন মুমিনুল। রিপ্লেতে দেখা যায় ধনাঞ্জয়ার ব্যাটে স্পর্শ করে বল লিটন দাসের গ্লাভসে পাড়ি জমায়। তাতে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ধনাঞ্জয়া। শেষ বিকেলে অবশ্য আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি ম্যাথিউস ও দীনেশ চান্দিমাল। ৫৮ রানে ম্যাথিউস আর চান্দিমাল অপরাজিত রয়েছেন ১০ রানে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.