পতন-ঝড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের শেয়ার

বিশ্ব পুঁজিবাজারে দর পতনের যে ঝড় শুরু হয়েছে, তাতে চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে বড় চেইন স্টোর ওয়ালমার্টের। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম ক্রেতা টার্গেট আর অনলাইন মার্কেটপ্লেস আমাজনের অবস্থাও একইরকম নাজুক।

চলতি সপ্তাহে ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের শেয়ারে রেকর্ড দরপতন হয়েছে। ১৯৮৭ সালের পরে একদিনে শেয়ারের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে কোম্পানি দুটি।

গত মঙ্গলবার (১৭ মে) নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়ালমার্টের শেয়ারের দাম কমে যায় ১১ শতাংশ। ১৯৮৭ সালের পর এটি একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর পতনের ঘটনা। তবে এখানেই শেষ নয়। পরদিনও (১৮ মে) শেয়ারের বড় দর পতন হয়। এটি শেয়ারটি ৭ শতাংশ মূল্য হারায়।

হঠাৎ করে ওয়ালমার্টের শেয়ারের এমন তীব্র পতনের পেছনে রয়েছে কোম্পানিটির একটি বিবৃতি। মঙ্গলবারই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতিজনিত কারণে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং শ্রমিক ও পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কোম্পানিটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছরে তাদের ৩ শতাংশ মুনাফা বাড়তে পারে। এখন তারা জানিয়েছে, আলোচিত বছরে মুনাফা তো বাড়বে-ই না, উল্টো তা ১ শতাংশ কমতে পারে। আর তাতেই সব লন্ডভণ্ড হয়ে যায়।

ওয়ালমার্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে অপর বৃহৎ রিটেইল চেইন টার্গেটের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান সংশ্লিষ্টরা। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম প্রান্তিকে তাদের অপারেটিং মুনাফার মার্জিন হতে পারে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এই মার্জিন ৮ শতাংশ হতে পারে বলে আগে অনুমান করা হয়েছিল।

মার্জিন কমে যাওয়ার শঙ্কার মুখে বুধবার (১৮ মে) টার্গেটের শেয়ারে ২৫ শতাংশের মতো মূল্য পতন হয়। ১৯৮৭ সালের পরে সর্বোচ্চ মূল্য পতনের ঘটনা এটি। মাঝখানে আর কখনো একদিনে শেয়ারের দাম এতটা কমেনি।

ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের শেয়ারের বড় মূল্য পতনে দুই দিনে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের বাজারমূলধন (Market Capital) কমে যায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার।

ওয়ালমার্ট ও টার্গেটের পতনের দিনে স্বস্তিতে ছিল না অনলাইন সুপার স্টোর (মার্কেট প্লেস) আমাজন। আমাজনের শেয়ারেও বুধবার ঝড় বয়ে যায়। শেয়ারটি মূল্য হারায় প্রায় ৭ শতাংশ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.