আমদানি বন্ধের কারণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

আমদানি অনুমতির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ৪ দিন ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে হিলি স্থলবন্দরের মোকামে পেঁয়াজের দাম।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকলে আসন্ন কোরবানি ঈদে ঊর্ধ্বমুখী হইয়ে যেতে পারে পেঁয়াজের দাম । তবে আমদানিকারকরা জানাইয়েছেন স্থানীয় আড়তগুলোতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

চলতি মাসের ৫ তারিখে আমদানি অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি । নতুন করে আমদানি অনুমোদন না পেলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

এদিকে গণমাধ্যমকে হিলি কাস্টমসের দেয়া তথ্যমতে, গেল ২৯ মার্চ থেকে ৫ মে পর্যন্ত ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে ২০১ টি ট্রাকে করে প্রায় ৫ হাজার ৫৬২ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ।

হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। কারন আমদানি না থাকলে দাম বাড়া স্বাভাবিক। কোরবানি ঈদে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তারা।

অন্যদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আইপি মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছি না। গেল ৫ মে আমাদের আইপি মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এতে তিনদিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও কোরবানি ঈদে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আড়তে আমদানিকারকদের পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ আছে।’

এদিকে বন্দরের মোকামে কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে অন্তত ৭ টাকা করে বেড়েছে। তবে খুচরা বাজারে ৮-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়।

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যে বাজারে দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পাইকারিতে ঈদের আগে ও পরে যে পেঁয়াজ ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আজ সেই মানের পেঁয়াজ কেজিতে অন্তত ৮-১০ টাকা বেড়ে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.