চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.৪%: আইএমএফ

চলতি বছর  বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরে সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এই পূর্বাভাস দিয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে (এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে আইএমএফ এই পূর্বাভাস দিয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৭ সালে তা বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ।

আইএমএফ অর্থবছর ধরে নয়, পঞ্জিকাবর্ষ ধরে অর্থাৎ জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময় ধরে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। অন্যদিকে, বিশ্বব্যাংক ও এডিবি অর্থবছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। চলতি মাসে এই দুটি সংস্থা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আর এডিবির পূর্বাভাস হলো-৬ দশমিক ৯ শতাংশ।

 

প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের মূল্যষ্ফীতি নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে। পুরো বছরের গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে। সরকারি হিসাব বলছে, গত কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশের আশপাশে আছে।
আইএমএফ আরও বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমেছে। চলতি বছরে বিশ্বের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ।

আইএমএফ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভারতে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। এ ছাড়া পাকিস্তান ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২ দশমিক ৬ শতাংশ, ভুটান ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও নেপালে ৪ দশমিক ১ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। মালদ্বীপের জিডিপি সংকোচ হতে পারে ২৪ শতাংশের বেশি। দেশটি নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। অতিমাত্রায় অনিশ্চয়তার কারণে আফগানিস্তানের জন্য কোনো পূর্বাভাস দেয়নি আইএমএফ।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.