বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন হাতে নিচ্ছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০ হাজার কোটি টাকার করোনা টিকা ফ্রি পেয়েছি
বুস্টার ডোজের ক্যাম্পেইন আগামীতে শুরু হচ্ছে। যারা এখনো টিকা নেয়নি তাদের টিকা নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনায় আমাদের মৃত্যুহার ও সংক্রমণ এখন শূন্যের কোটায়। এটা ধরে রাখতে হলে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টিআইবি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
‘টিকা নিয়ে আমাদের কাজ খুবই ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ)। তবে, টিআইবি খুবই ইনট্রান্সপারেন্ট (অস্বচ্ছ) কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দামি টিকা—মডার্না, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতো টিকা আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি প্রায় সাড়ে ৯ কোটির মতো। তবে প্রথমে আমরা ভারত থেকে টিকা কিনেছি। চায়না থেকে টিকা কিনেছি জিটুজি পদ্ধতিতে। মোট ১০ কোটির মতো টিকা কিনেছি আমরা।
বাড়তি দামে টিকা কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে দামের কথা বলা হয়েছে, সেটি আমাদের বেলায় প্রযোজ্য নয়। যারা তথ্য দিয়েছে, তারা কোত্থেকে নিয়েছে আমার জানা নেই। কাজেই কেউ যদি ভুল তথ্য দেয় সেটি আমরা মেনে নিতে পারবো না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘টিকাসহ এর আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে বাংলাদেশ সরকারের মোট খরচ হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে প্লেনে আনা-রাখাসহ সব ব্যয়ই রয়েছে। আর বাকি ২০ হাজার কোটি টাকার টিকা ফ্রি পেয়েছি; যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডোজ টিকা। ফলে সব মিলিয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকার টিকা বাংলাদেশের মানুষকে ফ্রি দিতে পেরেছি।’
সভায় জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণ এবং টিকাদানে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। টিকার কার্যক্রম অনেক দেশের তুলনায় ভালো। প্রায় ১৩ কোটি টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। সেকেন্ড ডোজ দিয়েছি ১১ কোটি ৬০ লাখ এবং বুস্টার ডোজ এক কোটি ১৯ লাখ। প্রথম ডোজ ৯৬ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ ৮৭ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯ শতাংশ। এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বে উজ্জ্বল হয়েছে।’
অর্থসূচক/এইচডি/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.