রেকর্ড গড়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন এমানুয়েল মাখোঁ

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমানুয়েল মাখোঁই আবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তিনি দক্ষিণপন্থী শিবিরের মারিন ল্য পেনকে হারিয়েছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। কারণ তখন পর্যন্ত দেশের অনেক অঞ্চলের ফল ঘোষণা বাকী ছিল। কিন্তু ঘোষিথ ফলাফলে তিনি মারিন পেনের চেয়ে বেশ ভাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শেষ পর্যন্ত তিনি-ই যে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তা পরিস্কার হয়ে গেছে।

এবারের ভোটে জিতে রেকর্ড গড়েছেন এমানুয়েল মাখোঁ। কারণ গত ২০ বছরে আর কোনো প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হতে পারেননি। সর্বশেষ ২০০২ সালে জ্যাঁ রেনে শিরাক দ্বিতীয় বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলন।  ফ্রান্সের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মাখোঁ হচ্ছেন তৃতীয়। অর্থাৎ তার আগে মাত্র দু’জন প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় বার আবার এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

পোলস্টার জরিপে দেখা যায়, মাখোঁ প্রায় ৫৭ থেকে শতাংশ ভোট পেয়েছেন। জরিপের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, লে পেন পেতে যাচ্ছেন ৪১ থেকে ৪৩ শতাংশ ভোট।

ইপসোস পোলিং ইনস্টিটিউটের জরিপ বলছে, মাখোঁ নির্বাচনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। অপরদিকে লে পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট।

১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটে কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

এমানুয়েল মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তথা কট্টরপন্থী র‍্য পেন পরাজিত হওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছে ফ্রান্স। শুধু ফ্রান্স নয়, পুরো ইউরোপ একটি অস্বস্তিকর অবস্থা এড়াতে পেরেছে। কারণ ল্য পেন দীর্ঘদিন ধরে লালিত ফরাসি সংস্কৃতির বিপরীত স্রোতকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি কট্টর মুসলিম বিরোধী, অভিবাসী বিরোধী। তাই তিনি নির্বাচিত হলে দেশটির স্থিতিশীলতা হুমকীর মুখে পড়তো। এছাড়াও তিনি ফ্রান্সকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে নিয়ে আসার পক্ষে। ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পথ অনুসরণ করে ফ্রান্সও বের হয়ে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতো।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.