সাংহাইয়ে কারখানা বন্ধে চাপ আসতে পারে টেসলার উপার্জনের উপর

চীনের সাংহাইয়ে টেসলার কারখানা বন্ধে চাপ আসতে পারে টেসলার উপার্জনের উপর। সম্প্রতি চীনের সাংহাইয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আবারও নাগালের বাহিরে চলে যায়। এতে চীনা সরকার সাংহাইয়ে লকডাউন দিতে বাধ্য হয়। এতে করে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল সাংহাইয়ে অবস্থিত বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার উৎপাদন কারখানাটি। আর এতে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের আয়ের উপর চাপ পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স

বিশ্লেষকরা বলছেন, টেসলার সাংহাই কারখানায় কোভিড-১৯ সম্পর্কিত স্থগিতাদেশ, বার্লিন এবং টেক্সাসে নতুন উৎপাদনকেন্দ্র নির্মান খরচ এবং ক্রমবর্ধমান সাপ্লাই চেইন খরচ টেসলার এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের আয়ের উপর চাপ তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক জানুয়ারিতে বলেছিলেন, টেসলার ভলিউম বৃদ্ধি গত বছরের থেকে সহজেই ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে, অর্থাৎ টেসলা সারাবিশ্বে এই বছর প্রায় ১৪ লাখের অধিক যানবাহন সরবরাহ করবে বলে আশা করছে।

টেসলা বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইন সংকটকে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পেড়েছে, ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে রেকর্ড করেছে এবং বেশ কয়েকটি প্রান্তিকে উপার্জনে ভালো সাফল্য দেখিয়েছে ।

অন্যদিকে একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে মঙ্গলবার টেসলা আবারও তার সাংহাই প্ল্যান্টে উৎপাদন পুনরায় শুরু করেছে, তবে রয়টার্সের একটি সূত্র বলেছে সাংহাইয়ের কারখানাটি সম্পূর্ণ উৎপাদনে ফিরে আসতে পারেনি।

এ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ক্রেডিট সুইস বিশ্লেষক ড্যান লেভি একটি ক্লায়েন্ট নোটে বলেছেন, সাংহাইয়ের উৎপাদন স্থগিত এবং বার্লিন ও টেক্সাসে নতুন উৎপাদনকেন্দ্র নির্মান খরচ ২০২২ সালে টেসলার ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে অনিশ্চয়তার একটি কারণ হতে পারে।

তিনি আরও বলেছেন “টেসলার সাম্প্রতিক পরিচালনা আয়ের উচ্চ মার্জিন থেকে বিপরীতমুখী যা ব্যয়ের মুদ্রাস্ফীতি এবং উৎপাদনের অদক্ষতার দ্বারা চালিত হয়েছে।”

মার্চ মাসে ইউক্রেন সংকটের মধ্যে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কাঁচামাল এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মুদ্রাস্ফীতির চাপের মুখোমুখি হওয়ার পরে মাস্ক বলেছিলেন, টেসলা চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে তাদের প্রোডাক্টের দাম বাড়িয়েছে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.