শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের গুলিতে নিহত ১

গোটা শ্রীলঙ্কা জুড়েই আন্দোলন করছেন সাধারণ মানুষ। পুলিশ বিক্ষোভ ঠেকাতে লাঠিচার্জ করেছে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে। কিন্তু এই প্রথম তারা গুলি চালালো। পুলিশ কেন গুলি চালিয়েছে, তার প্রতিবাদে আজ দেশ জুড়ে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

কারণ মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী কলম্বো থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে রামবুক্কানা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। তেলের দামবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন তারা। বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তোলার জন্য প্রথমে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতেও কাজ না হওয়ায় গুলি ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের। ২৪ জন আহত হন। তাদের সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বর্তমান সরকারের অপদার্থতার জন্যই আজ এই পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বত্র তেল পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবার।

দেশের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্টের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে তারা এই দাবি করছেন। বিরোধীরাও প্রেসিডেন্টের ডাকে সর্বদলীয় সরকার গঠনে রাজি হয়নি। তারাও সরকারের পদত্যাগ চাইছে।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দ্রুত শ্রীলঙ্কার অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। দেশটির কোষাগারের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, রাতারাতি তার পরিবর্তন হবে না। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রাও নেই। ফলে বাণিজ্যও মুখ থুবড়ে পড়েছে।

ভারত ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এক জাহাজ তেল পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরো তেল পাঠানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কয়েক বিলিয়ন ডলার সাহায্যের কথাও বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভারতের পাঠানো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস শ্রীলঙ্কার বাজারে পৌঁছেছে।

এদিকে শ্রীলঙ্কা থেকে বেশ কিছু মানুষ ভারতের উপকূলে এসে পৌঁছেছেন। কোস্ট গার্ডের হেফাজতে আছেন তারা। আরো বহু মানুষ ভারতে অভিবাসন-প্রত্যাশী হয়ে আসতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.