কুর্দিদের উপর তুরস্কের ড্রোন হামলা

উত্তর ইরাকে কুর্দিদের শিবির, টানেল, বাসস্থান ও গোলাবারুদ রাখার জায়গায় হামলা করেছে তুরস্কের যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, তাদের দেশকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এখনো পর্যন্ত পরিকল্পনামাফিক অপারেশন হয়েছে। যে সব টার্গেট প্রথম পর্যায়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তাতে হামলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি অবশ্য হতাহতের কোনো সংখ্যা দেননি।

বলা হয়েছে, উত্তর ইরাকে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে-র নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় আক্রমণ চালিয়েছে তুরস্ক। তাদের দাবি, ওই এলাকা থেকে তুরস্কের উপর হামলা চালানো হয়।

তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, কুর্দিরা তুরস্কের উপর ব্যাপক হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তুরস্ক তাই বন্ধু ও শরিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কুর্দিদের উপর হামলা করেছে। এই বন্ধু ও শরিক কারা তা তিনি জানাননি।

তবে গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান কুর্দ স্বশাসিত এলাকার প্রধানমন্ত্রী বারজানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তুরস্কের ভয় হলো, কুর্দিরা স্বাধীন কুর্দিস্তান গঠন করতে পারলে তারা তুরস্কের উপর হামলা করবে। তাই তারা ইরাক ও সিরিয়ায় কুর্দিদের দুর্বল করতে চাইছে। তবে ইরাকে স্বশাসিত অঞ্চল যারা শাসন করে, সেই কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি তুরস্কের সঙ্গে আছে।

তুরস্ক এই অপারেশনের নাম দিয়েছে ‘ক্ল লক’। তাদের দাবি, সীমান্ত সুরক্ষার জন্য তারা এই অপারেশন করছে। তাই সীমান্তে তারা গোলাবর্ষণও করছে। তারা পিকেকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। আমেরিকা এবং ইইউ পিকেকে-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করেছে। এই গোষ্ঠী ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এখনো পর্যন্ত এই সংঘাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.