নিউমার্কেটে সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত ২৫

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সকাল থেকে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এদিন সকাল ১১টা থেকে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার নেয়। সকাল থেকেই ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।

সকাল ১০টার দিকে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটের সামনে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট থেকে ঢাকা কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ৪-৫টি টায়ার জ্বালায়। এতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে অন্তত ৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

এদিকে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৫ জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- দীপ্ত টেলিভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ সুমিত, ক্যামেরা পারসন ইমরান লিপু, এস এ টিভির ক্যামেরা পারসন মো. কবির হোসেন, বাংলা টিবিউনের রিপোর্টার সাহেদ শফিক, মানবজমিনের রিপোর্টার শুভ্র দেব।

সুমিত বলেন, আমরা গাউছিয়ার মোড়ে ছিলাম, লাইভ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় ব্যবসায়ীরা আমাদের ক্যামেরা পারসনকে মারধর শুরু করে। তাকে বাঁচাতে গেলে ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা লোহার অ্যাঙ্গেল ও লাঠি দিয়ে মারতে মারতে নীলক্ষেত মোড়ে নিয়ে যায়।

চিকিৎসা নেওয়ার আগে সাংবাদিক লিপু জানান, নিউমার্কেট ব্যবসায়ীরা তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় তিনি রক্তাক্ত হন এবং তার ক্যামেরা ভেঙে যায়। তিনি বলেন, ‘আমি নিউমার্কেটের এপাশ (নীলক্ষেত পাশ) থেকে যাই। এসময় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন আমাকে বলে, ‘ছাত্ররা এদিক থেকে ঝড়ের মতো ইট মারছে, তুই ওই দিকে (ঢাকা কলেজ পাশ) যায়!’ তখন আমি তাদের বলি, ‘তা হলে আমাকে যেতে দাও।’ তারপর তাঁরা আমাকে লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করে। তারপর লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি রক্তাক্ত হই। তারা আমার ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে। ক্যামেরার ব্যাটারিও নিয়ে গেছে।’

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে সকাল থেকে পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা না গেলেও দুপুরের দিকে পুলিশ জলকামান নিয়ে নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.