ওয়ার্নারের ঝড়ো ইনিংসের পরও মুস্তাফিজদের হার

ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়ো ৩৮ বলে ৬৬ রানের ইনিংসের পরও দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১৬ রানে হারতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে। বৃথা গেছে অধিনায়ক ঋষভ পান্তের ১৭ বলে ৩৪ রানের কার্যকরী ইনিংসটিও।

বেঙ্গালুরুর দেয়া ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল দিল্লি। দলীয় ৫০ রানে পৃথ্বী শ ১৬ রান করে ফিরলে তাদের ওপেনিং জুটি ভাঙে। এরপর মিচেল মার্শকে নিয়ে আরকটি জুটি গড়েন ওয়ার্নার। এই ওপেনার ওয়ানিডু হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে শুরু হয় হায়দরাবাদের ব্যাটারসের আসা যাওয়া। মার্শ ১৪ রান করে রান আউট হন। এরপর রভম্যান পাওয়েল, ললিত যাদব দুই অঙ্কেই পৌঁছাতে পারেননি।

শেষ দিকে শার্দুল ঠাকুর ৯ বলে ১৭ রান করে কিছুটা আশা জাগালেও তা কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। ৭ বলে ১০ রান করে অক্ষর প্যাটেল ও সমান রানে কুলদীপ যাদব শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। ২টি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই অনুজ রাওয়াতকে হারায় বেঙ্গালুরু। শার্দুল ঠাকুরের বলে লেগ সাইডে খেলার চেষ্টা করলে বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ইনিংস বড় করতে পারেননি ফাফ ডু প্লেসিও।

খলিল আহমেদের বলে আপার কাট করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা অক্ষর প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক। ডু প্লেসির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৮ রান। ইনিংস বড় করতে পারেননি বিরাট কোহলি। বেঙ্গালুরু সাবেক এই অধিনায়ক ১২ রানের সময় রান আউট হয়েছেন। এরপর অবশ্য ৩৪ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে বেঙ্গালুরুকে খেলায় ফেরান ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি এই ব্যাটার ফেরার পর দলের হাল ধরেন শাহবাজ আহমেদ এবং কার্তিক। তাদের দুজনের জুটি থেকে আসে ৯৭ রান।

সমান সংখ্যক পাঁচটি ছক্কা ও চারে ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কার্তিক। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেয়া শাহবাজ অপরাজিত ছিলেন ২১ বলে ৩২ রান করে। এদিন বেশ খরুচে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের বাঁহাতি এই পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৮ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.